পাচারকারী ট্রাকে আন্ডারগ্রাউন্ড কেবিন তৈরি করে মাদক পাচার করা হচ্ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, ট্রাকের ডালার নীচে লোহার বিম দিয়ে আলাদা আলাদা ব্লক তৈরি করা হয়েছিল। সেই ব্লকের প্রত্যেকটিতে একটি করে নিষিদ্ধ মাদক গাঁজা ভর্তি বস্তা রাখা হয়েছিল। তল্লাশি চালাতে গিয়ে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা। দুর্গাপুর ব্যারেজ সংলগ্ন শ্যামপুর এলাকায় একটি ট্রাক থেকে প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে এমন বিস্ফোরক ছবির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। আপাতত অভিযুক্ত মাদক পাচারকারীকে জেরা করে ওই চক্রের মাথার খোঁজ চালানো হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন- পাণ্ডবেশ্বরের এই দুই বধূ এখন স্যাক্সোফোন শিল্পী! করেছেন ৫০ টিরও বেশি অনুষ্ঠান!
জানা গিয়েছে, ওড়িশার নম্বর প্লেট লাগানো একটি ট্রাকে অভিনব কায়দায় গাঁজা পাচার হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এসটিএফের বিশেষ একটি টিম দুর্গাপুর ব্যারেজ সংলগ্ন শ্যামপুরের কাছে ট্রাকটিকে আটকায়। প্রথমটা কিছু বুঝে ওঠার উপায় ছিল না এসটিএফ কর্তাদের কাছে। পড়ে তল্লাশি করে ট্রাকের পেছনে ডালা চাপা দেওয়া অবস্থায় দেখা যায় লোহার বিশেষ কিছু ব্লক যেগুলো সুন্দর ভাবে প্লট করে ভাগ করা ছিল। আর প্রতিটি ব্লকে একটি একটি করে সাদা বস্তা রাখা ছিল। বস্তা খুলতেই চক্ষু চরক গাছ হয়ে হয় এসটিএফ কর্তাদের।
আরও পড়ুন- উজ্জ্বল LED আলো আসলে 'সাইলেন্ট কিলার'! গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য!
ট্রাকের পেছনে এই লোহার ব্লকগুলিতে কাঠের পাটা চাপা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। এমনভাবে পরিকল্পনা সাজানো হয়েছিল, যাতে কারোর বোঝার উপায়টুকু ছিল না। নীচে প্লট করে করে লোহার বিশেষ ব্লক তৈরি করা আছে। যা ব্যবহার করে পাচার হচ্ছিল এই বাইশ বস্তা গাঁজা। প্রায় সাড়ে তিনশো কেজি গাঁজা এইদিন এসটিএফ কর্তারা আটক করেছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে ছ'জনকে।
জানা গেছে, ওড়িশার জলেস্বর থেকে ট্রাকটি নবদ্বীপ যাচ্ছিল। বাজেয়াপ্ত হওয়া গাঁজার বাজার মূল্য প্রায় আট লক্ষ টাকার মতো বলে জানা গিয়েছে। এখন এসটিএফ কর্তারা খতিয়ে দেখছেন, বড় কোনও চক্র এই মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কিনা। পাশাপাশি এই মাদক কাদের পাচার করা হচ্ছিল, কে লিঙ্কম্যান, এই সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
Nayan Ghosh