#পাণ্ডবেশ্বর: লকডাউনের সময় পরিবারের আর্থিক সংকট মেটাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন পাণ্ডবেশ্বর ছোড়া গ্রামের বাদ্যকর পরিবারের দুই গৃহবধূ। সেখান থেকেই হয়েছিল শুরু। আজ তাঁরা পেশাদার স্যাক্সোফোন শিল্পী। বাদ্যকর পরিবারের দুই বধূ সুমনা বাদ্যকর এবং মন্দিরা বাদ্যকর। তাঁরা আজ রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ভিন রাজ্যে গিয়েও। স্যাক্সোফোনের সুরে মাতিয়ে তোলেন দর্শক, স্রোতাদের মন।
শ্বশুর, স্বামীর সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে মঞ্চে গান পরিবেশন করেন বাদ্যকর পরিবারের এই দুই বধূ। লকডাউনের সময় স্বামী-শ্বশুরের কাছে পাওয়া শিক্ষার জোরে আজ তাঁরা সফল স্যাক্সোফোন শিল্পী। পেশাদার স্যাক্সোফোন শিল্পী। অতিমারির কঠিন সময় বাড়িতে বসে না থেকে কিছু করার যে প্রচেষ্টা তাঁরা করেছিলেন, স্বামী- শ্বশুরের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার যে সাহস তাঁরা দেখিয়েছিলেন, তার বিনিময় ওই দুই গৃহবধূ আজ বিখ্যাত হয়েছেন। পাশাপাশি মেটাতে পারছেন পরিবারের আর্থিক অসঙ্গতিও।
আরও পড়ুন- উজ্জ্বল LED আলো আসলে 'সাইলেন্ট কিলার'! গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য!
উল্লেখ্য, বাদ্যকর পরিবারের কর্তা বাবলু বাদ্যকর বহুদিন আগে থেকেই স্যাক্সোফোন শিল্পী। তাঁর রোজগারেই চলত পরিবার। পরে তাঁর দুই ছেলেও স্যাক্সোফোন শিল্পী হয়ে ওঠেন। একজন থেকে তিনজনের উপার্জন বাদ্যকর পরিবারে আসতে শুরু করে বাবা-ছেলের ভরসায়। কিন্তু লকডাউনের সময় পরিবারে দেখা দিয়েছিল আর্থিক সংকট।
আরও পড়ুন- বিরল দৃশ্য! লোকাল টানছে কার্গো ইঞ্জিন
অন্যদিকে, বাড়িতে বসে সময় কাটানোর পন্থা খুঁজছিলেন পরিবারের দুই বধূ। তখনই সুমনা দেবী এবং মন্দিরা দেবীর মাথায় স্যাক্সোফোন বাজানোর চিন্তা ভাবনা আসে। তখন থেকেই শুরু হয়েছিল এই পথচলা।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র ছয় মাসেই তাঁরা দুজনে স্যাক্সোফোন বাজানো শিখে গিয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত তাঁরা দুজনে ৫০ টিরও বেশি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। বহু স্রোতাদের থেকে বাহবা পেয়েছেন স্যাক্সোফোন বাজিয়ে। পাশাপাশি এই দুই মহিলা শিল্পীকে দেখতেও বহু মানুষই ভিড় জমান।
Nayan Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Pandobeswar, West Bardhaman