২০২১ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে এই মন্দিরটির পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। তারপর দু বছরের মধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে মন্দিরটি। দু'নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে সুবিশাল জায়গা নিয়ে অবস্থিত এই মন্দির। রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বার চোখে পড়বে আপনার। পুরো মন্দিরটি দামি পাথর এবং নানা রকম কারুকার্যে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে অপূর্ব সুন্দর আলোক সজ্জা। প্রতিদিনই স্থানীয় বহু মানুষ এই মন্দিরে ভিড় করেন। প্রতিদিন সকাল এবং বিকেলে নির্দিষ্ট সময়ে ভক্তদের জন্য খোলা হয় মন্দিরের দরজা। সন্ধ্যারতির পর প্রতিদিন করা হয় মহাপ্রসাদ বিতরণ। তারপর মন্দিরের দরজা বন্ধ করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: স্বপ্নে দেখে বর্ধমানের একশো আট শিবমন্দির তৈরি করেছিলেন বর্ধমানের মহারানি
মন্দিরের পাশেই রয়েছে একটি কৃত্রিম জলাশয়। মন্দির কমিটির সদস্যরা বলেন, এই জলাশয়টি গঙ্গার সমান। কারণ গঙ্গা থেকে জল এনে এই জলাশয়টিকে পূর্ণ করা হয়েছে। তাই যে সমস্ত পূর্ণর্থীরা এই শিব শক্তি ধামে আসেন, তারা এই ছোট্ট পুশকরণীর জল মহা ভক্তিভরে মাথায় নেন। বিভিন্ন পূর্ণ তিথিতে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে এই মন্দিরে। নানান তিথি উপলক্ষে মহাপুজো, মহাযজ্ঞের আয়োজনও করা হয় এখানে।
আরও পড়ুন: আসেন দেশ-বিদেশের পর্যটকরা, রাজ আমলে কালনার নবকৈলাশ মন্দিরে পুজো করতেন ১২ ব্রাহ্মণ
বাস, ট্রেন অথবা নিজস্ব গাড়ি - সব কিছুর মাধ্যমে খুব সহজে পৌঁছে যাওয়া যায় গোপালমাঠের এই শিব শক্তি ধাম। ট্রেনে দুর্গাপুর স্টেশন থেকে নেমে বাস অথবা গাড়ি নিয়ে পৌঁছে যেতে হবে গোপাল মাঠ। ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে অবস্থিত এই শিব শক্তি ধাম। বাসে দুর্গাপুর সিটি সেন্টার পৌঁছে, সেখান থেকে মিনিবাস অথবা গাড়ি করে এই পৌঁছে যাওয়া যাবে এখানে। নিজস্ব গাড়ি নিয়ে দুই নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে এলে, রাস্তার পাশেই পড়বে শিব শক্তি ধাম। চলতি বছরে মহা ধুমধামে শিবরাত্রি সঙ্গে পালন করা হবে এই মন্দিরে। মন্দির কমিটির সদস্যরা মনে করছেন, বহু সংখ্যক ভক্তদের শিবরাত্রি ব্রত পালনের জন্য এই মন্দিরে ভিড় হবে। আপনিও চাইলে শিবরাত্রির মত পূণ্য তিথিতে ঘুরে আসতে পারেন শিব শক্তি ধাম থেকে। শিল্পাঞ্চলের বুকে গড়ে ওঠা এই নিরিবিলি জায়গাটি মন ভরিয়ে দেবে আপনার।
Nayan Ghosh