পুলিশ সূত্রে খবর ডুবুরডিহি চেকপোস্টের কাছে নাকা চেকিং চলছিল। এই কয়লা বোঝাই লরি দুটির কাছে কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা মজুত থাকা কয়লার সঠিক নথি দেখাতে পারেনি। এরপরই পুলিশ লরি দুটিকে আটক করে। পুলিশ সূত্রে খবর ঝারখণ্ড থেকে বেআইনি কয়লা অবৈধ উপায়ে বাংলায় আনা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার নাকা চেকিং চলাকালীন বেআইনি কয়লা বোঝাই এই লরি দু'টিকে আটক করে কুলটি থানার পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুন: ব্যবসার সঙ্গে বাড়িও গেল! ভয়াবহ কাণ্ড প্রেমেরডাঙায়, মুহূর্তে বদলে গেল পরিস্থিতি
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দুটি লরি মিলিয়ে প্রায় ৫০ টন কয়লা ছিল। লরির চালকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে রাজ্যের কোথায় এই বেআইনি কয়লা পাচার করার কথা ছিল।
একদিকে যখন বেআইনি কয়লা পাচারে লাগাম টানতে কোমড় বেঁধে নেমেছেন রাজ্য পুলিশ, ঠিক তখনই পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে এই রাজ্যে বেআইনি কয়লা পাচারের চেষ্টা হাতেনাতে ধরা পড়ল। ২০২১ সালে বেআইনি কয়লা পাচারের গোড়ায় পৌঁছতে তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি ও সিবিআই। তারা ইতিমধ্যেই সরকারি সংস্থার কর্মীসহ অনেককে গ্রেফতার করেছে। এরপরই আসানসোলের খনি এলাকায় বাড়তি নজরদারি বাড়িয়েছে ইসিএল ও কয়লা খনির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ। রাজ্য পুলিশও তাদের নজরদারি বাড়িয়েছে। বেআইনি কয়লা খনির বিরুদ্ধেও চালানো হচ্ছে অভিযান। বন্ধ করা হচ্ছে একের পর এক বেআইনি কয়লা খনি। তবুও কয়লা পাচার যে একেবারে বন্ধ নেই তা এই ঘটনাটাই বুঝিয়ে দিল।