প্রথমে তিনজন অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়া হয় মুচিডির চেক ড্যাম্পে। সেখানে উদ্ধার হয় খুনের সময় ব্যবহৃত রড। তারপর আসামিদের নিয়ে যাওয়া হয় কাশিডাঙ্গার জঙ্গলে। সেখানে কোন স্থানে রাজেশের বস্তাবন্দী দেহ গর্তের ভিতরে চাপা দেওয়া হয়, তার পুনঃনির্মাণ করা হয়। তারপর অভিযুক্তদের নিয়ে যাওয়া হয় জেমারীর প্রমীলা এবং ফেমাস নার্সারির কাছে। সেখানে রাজেশ বাউরিকে কীভাবে খুন করা হয়েছে, তার পুনঃনির্মাণ করে দেখানো হয়।
advertisement
আরও পড়ুন - Howrah News: মা কালীর আরাধনার ১০০ বছর, শতবর্ষের কালীপুজো হবে বাগনানের বাঙালপুরে
কীভাবে রড দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হয় এবং তারপর কীভাবে তার মৃত্যু হয়, সেইসব পুলিশের কাছে দেখায় অভিযুক্তরা। রাজেশ বাউরির মোটর সাইকেলটি আল্লাডি মোড় সংলগ্ন একটি জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়। তারও পুনঃনির্মাণ করে দেখান হয় এদিন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অবৈধ সম্পর্কের টানা পোড়েনের জন্য রাজেশ বাউরিকে খুন হতে হয়।
উল্লেখ্য, আসানসোলের সালানপুর থানার অন্তর্গত জেমারীর বাসিন্দা রাজেশ বাউরি নামের নিখোঁজ ব্যক্তির বস্তাবন্দী দেহ শুক্রবার মধ্যরাতে উদ্ধার করে সালানপুর থানার পুলিশ। সালানপুর থানার অন্তর্গত কালীপাথর এনটিপিসির কাশিডাঙ্গা জঙ্গল থেকে দেহটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় সালানপুর থানার পুলিশ নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজে, তদন্তে নেমে দুজন মহিলা, একজন পুরুষ সহ মোট তিনজনকে আটক করে।পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই, তারা রাজেশ বাউরির খুনের ঘটনা স্বীকার করে নেন। পুলিশ রাজেশ বাউরির বস্তাবন্দী মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়৷
আরও পড়ুন - Murshidabad News: বন্ধুর টান! সাইকেল চালিয়ে সুদূর মালয়েশিয়া থেকে সোজা রানিনগর চলে এল যুবক
তবে রাজেশ বাউরির মোটর সাইকেলটি সেই সময় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি৷ পরে তিনজন অভিযুক্তকে পুলিশ জেরা করে জানতে পারে, রাজেশ বাউরির মোটর সাইকেলটি তারা আল্লাডি মোড় সংলগ্ন ফেমাস নার্সারির সামনে একটি পরিত্যক্ত জায়গায় ফেলে দিয়েছে। এরপর রবিবার মাইথনের নৌকা চালকদের নিয়ে এসে কাঁটা ফেলে পরিত্যক্ত চাণকের ভেতর থেকে বাইকটি উদ্ধার করা হয়। মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করে সালানপুর থানাতে পুলিশ নিয়ে যায়। ঘটনায় জড়িত টাকা তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ৫ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পরে এক ব্যক্তির পঁচাগলা দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় সালানপুর থানার জেমারি এলাকায়। শুক্রবার মধ্য রাতে কালীপাথর এনটিপিসির পাইপ লাইনের কাশিডাঙ্গার জঙ্গলের মধ্যে এক গর্তের ভিতর বস্তাবন্দী অবস্থায় উদ্ধার হয় নিখোঁজ ব্যক্তি রাজেশ বাউরির(৩৮) দেহ। এই ঘটনায় তিনজনে গ্রেফতার করে সালানপুর থানার পুলিশ।
রাজেশ বাউরির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ জুলাই বাড়ি থেকে গাড়ি মেরামতের নাম করে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেন নি রাজেশ। পরের দিন তার স্ত্রী বন্দনা বাউরি সালানপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরেও পুলিশ রাজেশের কোনও খোঁজ দিতে পারেনি। এরপরে পরিবারের সন্দেহ জেরে পুলিশ দুই মহিলা সহ একজনকে আটক করে। ধৃতদের নাম অমিত বাউরি, ভাদু বাউরি, পদ্মাবতী সোরেন। তাদেরকে টানা জেরা করার পর, ওই তিনজন স্বীকার করে, রাজেশ বাউরিকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে।
ধৃতরা জানিয়েছে, রাজেশের দেহ বস্তায় ভরে মাটিতে পুঁতে দিয়েছে ওই তিনজন। প্রমাণ লোপাট করতে রাজেশের বাইকটি পরিত্যক্ত চানকে ফেলে দেয় তারা। এরপরে ধৃত তিনজনকে নিয়ে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। পুলিশের অনুমান, অতীতের প্রেমের জেরে এই ঘটনা। পাশাপাশি, জমিজমা বিক্রির টাকা নিয়ে অশান্তির কারনেই এই খুন।
Nayan Ghosh