পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটির মিঠানি গ্রামে রয়েছে চট্টরাজ পরিবার। যে পরিবারের কুলদেবতা বাসুদেবচন্দ্র জিউ। তাঁর উদ্দেশ্যে পালিত হয় পঞ্চম দোল। আগের দিন রাতে হয় চাচর অর্থাৎ হোলিকা দহন। পরদিন পূজা-অর্চনার সঙ্গে সঙ্গে চট্টরাজ পরিবারের সদস্যরা মেতে ওঠেন পঞ্চম দোলের আনন্দে। বিগত ২০০ বছর ধরে এই পঞ্চম দোল পালিত হচ্ছে চট্টরাজ পরিবারে যদিও বিগত কয়েক বছরে পঞ্চম দোল মিঠানি গ্রামের সকলের উৎসব হয়ে উঠেছে।
advertisement
আরও পড়ুন - Anushka Sharma on Virat Kohli: বিরাট কোহলি ‘এই’ অবস্থায় খেলতে নেমেছিলেন, জানিয়ে দিলেন স্ত্রী অনুষ্কা
সঠিক সময় বলতে না পারলেও, পরিবারের প্রবীণ সদস্যরা জানিয়েছেন, বিগত দুশো বছরের বেশি সময় ধরে এই পঞ্চম দোল পালিত হয় চট্টরাজ পরিবারে। দোলের দিন পরিবারের সকলে যেমন আবির খেলার আনন্দে মেতে ওঠেন, তেমনভাবেই ঠিক পাঁচ দিন পর ফের জাঁকজমকের সঙ্গে দোল উৎসব পালন করা হয় এখানে।
আরও পড়ুন - Jai Shree Ram: ‘শামি -জয় শ্রী রাম’-আহমেদাবাদের ফ্যানদের কুৎসিত কীর্তি, ভাইরাল ভিডিও
চতুর্থীর চাঁদ উদয়ের সঙ্গে এখানে পালিত হয় চাচড় অর্থাৎ হোলিকা দহন। ঘটা করে মন্দির থেকে পরিবারের কুলদেবতাকে নিয়ে যাওয়া হয় অন্য একটি জায়গায়। সেখানে যজ্ঞের পর চাচড় হয়। পরদিন সকাল থেকে কুলদেবতার মন্দিরে শুরু হয় পুজোপাঠ।
পাশাপাশি পরিবারের সদস্যরা সকলে দোলের আনন্দে মেতে ওঠেন। স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের সদস্যরা সুযোগ পান বছরে দুবার দোল খেলার। আর এই উৎসবের আনন্দে এখন চট্টরাজ পরিবারের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন গ্রামের মানুষরাও।
Nayan Ghosh