মলানদিঘি পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মোলাডাঙ্গা আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা রানী মুর্মু। এই মুহূর্তে এলাকার অন্যতম সততার প্রতীক তিনি। যিনি জনপ্রতিনিধি হয়ে পদে থেকেও, একদম বৈভবহীন সাদামাটা জীবন যাপনেই অভ্যস্ত।
উপপ্রধান আদিবাসী মহিলা রানী মুর্মু এখনও ভাগ চাষ করে চালান সংসার। জরাজীর্ণ মাটির বাড়িতে বসবাস করেন তিনি। জনতাকে পরিসেবা দিতে সাইকেলে চড়ে যান পঞ্চায়েত অফিসে।কাঁকসার মলানদিঘি মোলডাঙ্গা আদিবাসী পাড়ার রাণী মুর্মুকে এলাকার উন্নয়নের জন্য এলাকার মানুষ নির্বাচিত করেছিলেন গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মেডিকেল টেস্টে কি কেষ্টর বিপদ বাড়ল! জানুন...
আরও পড়ুনঃ খবরের জের! মশা নাশক স্প্রে হচ্ছে কুমারডিহিতে
আবার পঞ্চায়েত নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়াচ্ছে। আর সেই সময় উঠে এসেছে এমন উপ-প্রধানের কাহিনী, যিনি নিজের সংসার চালাতেই হিমশিম খান। অথচ এলাকার মানুষের সুখের জন্য সর্বদা দায়িত্ব পালনে মুখিয়ে থাকেন তিনি।
এলাকার মানুষজন বলছেন, দায়িত্বভার গ্রহণের পর দিন থেকেই উন্নয়নের কাজে নিযুক্ত হয়েছেন রানী মুর্মু। ঠান্ডা ঘরের জীবনযাপন ছেড়ে ৩ কিলোমিটার সাইকেলে চড়ে যান পঞ্চায়েত অফিসে। নিয়মিত পরের জমিতে চাষের কাজের পর পঞ্চায়েতে হাজির হন। জনতার অভাব অভিযোগ শুনে সমাধানও করেন দ্রুত, জানাচ্ছেন এলাকার মানুষ।তিনি নিজে থাকেন মাটির বাড়িতে। রাণী দেবী বলেছেন, এলাকার মানুষের আগে পাকা বাড়ি হোক। তারপর না হয় তাকে সরকারি আবাস যোজনায় বাড়ি দেওয়া হবে। স্কুল শিক্ষিকা থেকে এলাকার মানুষ, সকলেই চাইছেন, ভবিষ্যতেও যেন তিনি আসেন উপপ্রধান হয়ে। কারণ এলাকার মানুষ সময়ে অসময়ে পাশে পান তাদের ঘরের মেয়ে উপ প্রধান রানী মুর্মুকে।
Nayan Ghosh





