আরও পড়ুন: ঢেলে বিক্রি হচ্ছে গ্রিন বাজি, ক্রেতার ভিড় ক্রমশ বাড়ছে
মন্দিরের সেবাইত সুজয় ব্যানার্জি জানান, এই মন্দিরে দেবীর নিত্য সেবা হয়। তবে বিশেষ বিশেষ অমাবস্যাগুলিতে হয় পুজো। দীপান্বিতা অমাবস্যায় সবথেকে জাঁকজমক সহকারে পুজোর আয়োজন করা হয়। তাছাড়া ফলহারিনি আমাবস্যা, রটন্তি কালীপুজোর দিনে এখানে বিশেষ পুজো হয়। বিশেষ পুজো হয় জগদ্ধাত্রী ও দুর্গাপুজোর নবমীতে। এই মন্দিরে এখনও বলি প্রথা প্রচলিত আছে। তাছাড়া বিশেষ বিশেষ পুজোর দিনে দেবীকে ভোগ নিবেদন করা হয়।
advertisement
জানা যায়, এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা সাধক বর্ধমান রাজ পরিবারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এই মন্দিরের সাধকের চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠেন বর্ধমানের রানী। তখন বর্ধমানের রাজা তাঁদের জমিদারি দেন। সাধকের পরিবার পরিচিত হয়ে ওঠেন কবিরাজ পরিবার নামে। সেই কবিরাজ পরিবারের কূলদেবী আনন্দময়ী। যে পুজো ৩০০ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে। কবিরাজ পরিবারের বর্তমান সদস্যরা এলাকায় না থাকলেও কালীপুজোর দিন সকলেই আসেন মন্দিরে।
এই মন্দিরে সকাল এবং বিকেলে নিত্য পুজো হয়। যদিও অন্যান্য সময় দেবীর মন্দির বন্ধ রাখা হয়। তবে বিশেষ বিশেষ পুজোর দিনে বহু মানুষের জমায়েতে দেখা যায় আনন্দময়ীর মন্দিরে। এখানে দেবী ভীষণ দর্শনা। পাশাপাশি দেবীর রূপে কিছুটা ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। এখানে দেবী শিবের বুকে পা দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন না। দেবীর নাভিপদ্ম থেকে উৎপন্ন হওয়া পদ্মের উপর দেবী বসে থাকেন। যা এই মন্দিরের অন্যতম বিশেষত্ব। কালীপুজোয় এই মন্দিরে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। যার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে।
নয়ন ঘোষ