সৈকত আসানসোলের রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠ পড়ুয়া। প্রথম শ্রেণী থেকেই সে রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠ পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে ষষ্ঠ স্থানাধিকারী সৈকত। সে জানিয়েছে, তার আশা ছিল সে ৬৮০ এর বেশি নম্বর পাবে। তবে ৬৮৮ পেয়ে সে মেধাতালিকায় আসবে, এমন টা তার কাছে আসার বাইরে ছিল। কিন্তু মাধ্যমিকের ফলাফলের পেছনে সৈকতের প্রস্তুতি কেমন ছিল? এই বিষয়ে সৈকত জানিয়েছে, সাধারণভাবেই সে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছি। দীর্ঘসময় ধরে বসে পড়াশোনা করার মতো বিষয়ে আমি অভ্যস্ত ছিলাম না। তবে যেটুকু পড়েছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করেছি। আমার গৃহশিক্ষক ছিল মাত্র দুজন। একজন অঙ্কের এবং দ্বিতীয় জন ইংরেজির। তাছাড়া সমস্ত সাহায্যই পেয়েছি বাড়ির কাছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জিএসটি সার্টিফিকেট কোর্স
সৈকত আরও জানিয়েছে, লকডাউনের ফলে স্কুল বন্ধ ছিল। তাই যাতায়াতের সময় অনেকটা বেঁচে গিয়েছে। অনলাইনে যেটুকু পড়াশোনা হয়েছে, তা পুরোপুরি ভাবে মনোযোগ সহকারে করেছি। গৃহশিক্ষক থেকে স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা - সকলের নোটস, টিপস ফলো করেছি। আর লকডাউনের জন্য বাড়িতে যে বাড়তি সময় থাকতে হয়েছে, সেই সময়টুকু পড়াশোনার জন্য কাজে লাগিয়েছি। তারপরে এসেছে অভূতপূর্ব সাফল্য। তাছাড়াও পরিবারের সব সময়ই পড়াশোনার একটা আবহ ছিল। পরিবারের কাছ থেকে সর্বদা সাহায্য পেয়েছি।
আরও পড়ুনঃ গণিতে ১০০তে ১০০! মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থানাধিকারী অনন্যার কঠিন পরিশ্রম জানুন
সৈকতের বাবা একজন রেলকর্মী। তিনি আসানসোলে কর্মরত রয়েছেন। আসানসোল এলাকায় একটি আবাসনে সৈকতের বসবাস। তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সৈকত ছোট থেকে ভীষণ মেধাবী। তবে অল্প পড়াশোনাতেই পরীক্ষার ফলাফল ভালো হয়েছে। আর মাধ্যমিক পরীক্ষায় তার এই সাফল্যে সকলেই ভীষণ খুশি। পরিবারের সদস্যরা এবং সৈকত চায়, আগামী দিনে একজন সফল চিকিৎসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে এবং মানুষের সেবা করতে।
Nayan Ghosh