TRENDING:

Paschim Bardhaman: লকডাউনের বাড়তি সময় সাহায্য করেছে সাফল্যে

Last Updated:

লকডাউন কি পড়াশোনার ক্ষতি করেছে? দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার প্রভাব কেমন পড়েছে পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের ওপর? এই নিয়ে নানারকম প্রশ্ন বারবার উঠে এসেছে লকডাউন পর্বের পর থেকে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পশ্চিম বর্ধমান : লকডাউন কি পড়াশোনার ক্ষতি করেছে? দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার প্রভাব কেমন পড়েছে পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের ওপর? এই নিয়ে নানারকম প্রশ্ন বারবার উঠে এসেছে লকডাউন পর্বের পর থেকে। অতিমারির পরে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পড়ুয়াদের ফলাফল কেমন হতে পারে, তা নিয়েও চিন্তায় ছিলেন বহু অভিভাবক থেকে শিক্ষাবিদরা। কিন্তু লকডাউনে পড়াশোনা করতে অনেক বেশি সুবিধা হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে বাড়তি সময়। এমনটাই মন্তব্য করেছে মাধ্যমিকে ষষ্ঠ স্থান অধিকারী তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলার দ্বিতীয় স্থানাধিকারী সৈকত গাঙ্গুলী। সৈকত নিউজ ১৮ লোকালের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছে, লকডাউনের জন্য যাতায়াতের অনেকটা সময় বেঁচে গিয়েছে। যে সময়টা পড়াশোনার জন্য ব্যবহার করা গিয়েছে। তবে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার জন্য মনখারাপ যে হয়েছে, তাই স্বীকার করেছে সৈকত। চলতি বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ১১৪ জন পড়ুয়া। পশ্চিম বর্ধমান জেলা থেকে মেধাতালিকায় রয়েছে অনন্যা দাশগুপ্ত এবং সৈকত গাঙ্গুলী। সৈকত মাধ্যমিকে ৬৮৮ পেয়েছে। ফলাফল দেখার পরে সৈকত জানিয়েছে, আশা ছিল ফলাফল ভাল হবে। তবে ফলাফল যে এতটা ভাল হবে, সেই আশা ছিল না। সাক্ষাৎকারে সৈকত গাঙ্গুলী জানিয়েছে, যখন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছিল, সে সময় টিভির পর্দার সামনে সে ছিল না। বাবার কাছে থেকেই এই সুখবর প্রথমে আসে। তারপর বন্ধুদের কাছে থেকেও আসতে থাকে শুভেচ্ছাবার্তা।
advertisement

সৈকত আসানসোলের রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠ পড়ুয়া। প্রথম শ্রেণী থেকেই সে রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠ পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে ষষ্ঠ স্থানাধিকারী সৈকত। সে জানিয়েছে, তার আশা ছিল সে ৬৮০ এর বেশি নম্বর পাবে। তবে ৬৮৮ পেয়ে সে মেধাতালিকায় আসবে, এমন টা তার কাছে আসার বাইরে ছিল। কিন্তু মাধ্যমিকের ফলাফলের পেছনে সৈকতের প্রস্তুতি কেমন ছিল? এই বিষয়ে সৈকত জানিয়েছে, সাধারণভাবেই সে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছি। দীর্ঘসময় ধরে বসে পড়াশোনা করার মতো বিষয়ে আমি অভ্যস্ত ছিলাম না। তবে যেটুকু পড়েছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করেছি। আমার গৃহশিক্ষক ছিল মাত্র দুজন। একজন অঙ্কের এবং দ্বিতীয় জন ইংরেজির। তাছাড়া সমস্ত সাহায্যই পেয়েছি বাড়ির কাছে।

advertisement

আরও পড়ুনঃ কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জিএসটি সার্টিফিকেট কোর্স

সৈকত আরও জানিয়েছে, লকডাউনের ফলে স্কুল বন্ধ ছিল। তাই যাতায়াতের সময় অনেকটা বেঁচে গিয়েছে। অনলাইনে যেটুকু পড়াশোনা হয়েছে, তা পুরোপুরি ভাবে মনোযোগ সহকারে করেছি। গৃহশিক্ষক থেকে স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা - সকলের নোটস, টিপস ফলো করেছি। আর লকডাউনের জন্য বাড়িতে যে বাড়তি সময় থাকতে হয়েছে, সেই সময়টুকু পড়াশোনার জন্য কাজে লাগিয়েছি। তারপরে এসেছে অভূতপূর্ব সাফল্য। তাছাড়াও পরিবারের সব সময়ই পড়াশোনার একটা আবহ ছিল। পরিবারের কাছ থেকে সর্বদা সাহায্য পেয়েছি।

advertisement

View More

আরও পড়ুনঃ গণিতে ১০০তে ১০০! মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থানাধিকারী অনন্যার কঠিন পরিশ্রম জানুন

সৈকতের বাবা একজন রেলকর্মী। তিনি আসানসোলে কর্মরত রয়েছেন। আসানসোল এলাকায় একটি আবাসনে সৈকতের বসবাস। তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সৈকত ছোট থেকে ভীষণ মেধাবী। তবে অল্প পড়াশোনাতেই পরীক্ষার ফলাফল ভালো হয়েছে। আর মাধ্যমিক পরীক্ষায় তার এই সাফল্যে সকলেই ভীষণ খুশি। পরিবারের সদস্যরা এবং সৈকত চায়, আগামী দিনে একজন সফল চিকিৎসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে এবং মানুষের সেবা করতে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
​'শুভ বিজয়া' সন্দেশ স্পেশালে মন মজেছে জনতার! বর্ধমানের মিষ্টির দোকানে ভিড়
আরও দেখুন

Nayan Ghosh

বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম বর্ধমান/
Paschim Bardhaman: লকডাউনের বাড়তি সময় সাহায্য করেছে সাফল্যে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল