প্রায় ৩০০ বছর ধরে এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। অনেকেই জয়দেব এবং কেন্দুলি মেলাকে একটি মেলা মনে করেন তবে। কেন্দুলি মেলা আয়োজন করা হয় পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসায়। জয়দেব মেলা আয়োজিত হয় অজয় নদীর পাড়ে। আর কেন্দুলি মেলা আয়োজিত হয় দামোদরের পাড়ে। জয়দেবের অন্যতম শিষ্য বাউল দাসের স্মৃতির উদ্দেশে শুরু হয়েছিল এই মেলা। তারপর থেকে চিরাচরিত ভাবে চলছে কেন্দুলি মেলা। অনেকেই বলেন জয়দেব মেলা ও কেন্দুলিি মেলা একে অপরের পরিপূরক।
advertisement
আরও পড়ুন : যন্ত্রণার পরও জীবন আছে, মুক্তকণ্ঠে জানালেন অ্যাসিড হামলায় আক্রান্তরা
৩০০ বছর ধরে কাঁকসার সিলামপুরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বাউল দাসের কেন্দুলি মেলা। জানা গিয়েছে, কবি জয়দেবের শিষ্য ছিলেন বাউল দাস। গত কয়েকশো বছর আগে তিনি কাঁকসার সিলামপুরে নিজের আখড়া তৈরি করেন। সেখানেই বসবাস করতেন বাউল দাস। পরে তিনি মারা গেলে, সেখানেই তাকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল।
গ্রামের মানুষ জানিয়েছেন, স্বপ্নাদেশ পেয়ে গত ৩০০ বছর আগে এলাকায় মেলার আয়োজন করা হয়। সেই দিন থেকে প্রতি বছরের মত, আজও মহা ধুমধামে মেলার আয়োজন হয়ে আসছে। মকর সংক্রান্তির দিন বেলা বারোটা থেকে মেলা শুরু হয়। মেলা চলে সাত দিন। নানান ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় মেলা প্রাঙ্গণে। এলাকার মানুষ জানিয়েছেন, বহু দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এই মেলায় ভিড় জমান।
আরও পড়ুন : সাতসকালে আবাসনের পাঁচতলার কার্নিশে বেকায়দায় মিনি! কী করে রক্ষা পেল পোষা বিড়াল? সে এক কাণ্ড!
কথিত আছে দামোদর নদে মকর সংক্রান্তির দিন পুণ্যস্নান সেরে কেন্দুলি মেলা প্রাঙ্গণে মহাদেব ও দেবী কালীর মন্দিরে পুজো দিলে, অনেকেরই শরীরের রোগ সেরে যায়।সেই বিশ্বাস নিয়েই হাজার হাজার মানুষ প্রতিবছর মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় জমান। তবে করোনার জন্য গত দু বছর তেমন ভিড় না জমলেও, এবছর মেলায় ব্যাপক ভিড় হবে বলে আশা করছেন মেলার আয়োজকরা। সেই মতো বিভিন্ন বন্দোবস্ত করা হয়েছে মেলায়। পাশাপাশি ব্যবস্থা করা হয়েছে নিরাপত্তার।