দুর্গাপুরের সগরভাঙা কলোনি এলাকা। অনেকেই রোজকার মতো বেরিয়েছিলেন বাজার করতে। তখনই সকলের নজর পড়ে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা নথির দিকে। সেখানে পড়ে রয়েছে একাধিক বই। সঙ্গে রয়েছে কার্ড। যেগুলির মেয়াদ এখনও পর্যন্ত উত্তীর্ণ হয়নি। এমন বিষয় নজরে পড়তেই গুঞ্জন শুরু হয় এলাকায়। সময় নষ্ট না করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে সব নথি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে।
advertisement
কিন্তু আসলে হয়েছে কী? এত হইচই কী নিয়ে? দুর্গাপুর সগরভাঙ্গা কলোনি এলাকা। সেখানে সকাল সকাল উদ্ধার হয়েছে ব্যাঙ্কের একাধিক পাসবই এবং এটিএম কার্ড। যেগুলিকে রাস্তার পাশে স্তুপাকৃতি অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, যে সমস্ত পাসবইগুলি উদ্ধার হয়েছে, সেগুলি চলতি বছর পর্যন্ত আপডেট করা হয়েছে। এমনকি, যে সব এটিএম কার্ডগুলি রয়েছে, সেগুলির ভ্যালিডিটিও রয়েছে এখনও পর্যন্ত। সমস্ত পাস বই এবং এটিএম কার্ডগুলি প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার সঙ্গে যুক্ত বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
আরও পড়ুন: রাজ্যপালকে সন্দেশখালি যাওয়ার আবেদন শুভেন্দুর, মানবাধিকার কমিশনেরও দৃষ্টি আকর্ষণ
আরও পড়ুন: আইসিইউতে মিঠুন চক্রবর্তী! বর্ষীয়ান অভিনেতাকে তড়িঘড়ি স্থানান্তর… বাড়ছে চিন্তা
জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের ২৯ নং ওয়ার্ডের সগরভাঙ্গা হাউসিং কলোনীতে উদ্ধার হয়েছে পাসবই এবং এটিএম কার্ডের মতগুরুত্বপূর্ণ নথি। শনিবার সকালে সগরভাঙ্গা আবাসনের কে ব্লকের একটি মাঠের পাশেই কয়েকশো পাস বই আর এটিএম পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় কোকওভেন থানায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পাসবই ও কার্ডগুলি উদ্ধার করে। নিয়ে গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বেশিরভাগ পাসবই স্থানীয় স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এফসিআই ব্রাঞ্চের। উদ্ধার হওয়া নথিগুলি মূলত সগরভাঙ্গা ও আশেপাশের এলাকার পাসবই বই বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কীভাবে এই পাসবই ও এটিএম এখানে এল, তা কারোর জানা নেই।
নয়ন ঘোষ