কাঁকসা অঞ্চলে যেটুকু কৃষি জমি রয়েছে, তার প্রায় ৭০ ভাগ জমিতেই সেচের জল পৌছয় না। বর্ষার বৃষ্টির ওপর নির্ভর করে ওই জমিগুলিতে কৃষি কাজ হয়। যদিও বেশ কিছু জায়গায় সৌর বিদ্যুৎ চালিত সাবমারসিবল পাম্প বসানো হয়েছে। তবে তা যথেষ্ট নয়। অন্যদিকে বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। ফলে এখনও সেইভাবে শুরু হয়নি চাষাবাদ।
advertisement
আরও পড়ুন ঃ সকাল হতেই বৃষ্টি মাথায় নিয়ে জেলাবাসীর ছুট, কিন্তু গন্তব্য কোথায়?
যারা বৃষ্টির উপর ভরসা করে এই সময় কৃষিকাজের জন্য অপেক্ষা করেন, তারা এরপর আতঙ্কের প্রহর গুনছেন। যদি তারা কৃষিকাজ করতে না পারেন, তাহলে উপার্জন হবে কোথা থেকে। আবার যদি জল কিনে বীজ বপনও করে ফেলেন, কিন্তু বৃষ্টি না হয়, তাহলে মাঠে ধানের চারা শুকিয়ে যাবে। সেই ভয়েও পিছিয়ে যাচ্ছে অনেকেই।
পূর্ব বর্ধমান খবর | Purba Bardhaman News
কাঁকসা অঞ্চলের কৃষি জমিগুলিতে দেখা যাচ্ছে নিরাশাজনক ছবি। বেশিরভাগ জমিতেই ঘাস গজিয়েছে। এখনও পর্যন্ত একবারও চাষ দেওয়া হয়নি। কৃষকরা বলছেন, ট্রাক্টর দিয়ে চাষ দিতে অনেক খরচ। পর্যাপ্ত জল না হলে, জল কিনে জমিতে চাষ দিতে হবে। তারপর যদি ফসল না হয়, তাহলে সেই খরচ জলে যাবে। যদিও দু-একজন কৃষক জল কিনে জমিতে চাষ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন ঃ শিব মন্দিরে বাটি বাটি দুধ খাচ্ছে মূর্তি! শ্রাবণ মাসেই কেন? বিজ্ঞান নাকি ভক্তি!
কিন্তু তারাও রয়েছেন আতঙ্কের মধ্যে। বলছেন, জন কিনে চাষ করেছি। আপাতত যেটুকু জল রয়েছে, তাতে ধানের চারা শুকোবে না। কিন্তু যদি শ্রাবণ, ভাদ্র মাসেও সেই ভাবে বৃষ্টি না হয়, তাহলে বিপদ আছে। হয় জল কিনে চাষ করতে হবে। তাতে খরচ হবে অনেক। লাভ হবে না কিছুই। আর নয়তো জলের অভাবে নষ্ট হয়ে যাবে ধানের চারা। সবমিলিয়ে ধান চাষের মরশুমে বৃষ্টির অভাবে দ্বিধায় পড়েছেন কৃষকরা।
Nayan Ghosh