হাসপাতালের বহির্বিভাগে ভর্তি হওয়া ওই রোগিনীকে প্রথম দেখেই টিউমারের সন্দেহ করেছিলেন চিকিৎসক নীলাদ্রি সেন। তারপর সমস্ত রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অস্ত্রপচারের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যদিও এই ধরনের ক্যান্সার সার্জারি মহকুমা হাসপাতালের ন্যূনতম পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত জটিল। তবে তা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। এই ব্যাপারে ওই রোগিনীর স্বামী জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে তার স্ত্রীর পেটে ব্যথা দেখা দিয়েছিল। তিনি দুর্গাপুরের ইছাপুর এলাকার বাসিন্দা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ অনলাইন আসক্তি কমানোর আবেদন নিয়ে পথে ডিস্ট্রিবিউটাররা
তিনি পেট ব্যথা নিয়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসেন। চিকিৎসক নীলাদ্রি সেন বুঝতে পারেন ওই রোগীর টিউমার সমস্যা রয়েছে। তার পরেই সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং সিটি স্ক্যান করা হয়। তিনি বুঝতে পারেন তিন সন্তানের মা ওই রোগীকে বাঁচাতে হলে প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন অস্ত্রপচার। কিন্তু মহকুমা হাসপাতালে ক্যান্সার সার্জারি করা অতি বিরল। অন্যদিকে দরিদ্র হওয়ার জন্য বড় হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করাতে তাদের সমস্যা হত।
আরও পড়ুনঃ শীতের দুপুর উপভোগ্য করে তুলতে পানাগড়ে এক দিবসীয় কাবাডি প্রতিযোগিতা
ফলে কার্যত ঝুঁকি নিয়ে এই ক্যান্সার সার্জারি করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসক। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে একটি বিশেষ টিম গঠন করে অস্ত্রোপচার করেছেন চিকিৎসক নীলাদ্রি সেন। অস্ত্রপচার সফল হওয়ার পর চিকিৎসক তার টিমকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। অন্যদিকে রোগীর পরিবার ধন্যবাদ জানিয়েছেন চিকিৎসককে। ন্যূনতম পরিকাঠামোয় এই ক্যান্সার সার্জারি দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের মান আরও অনেক বাড়িয়ে দিল বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
Nayan Ghosh