দুর্গাপুর আদালত, গত শুক্রবার আনুমানিক দুপুর দুটো দশ মিনিটে এই রায় দিয়েছে। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের শরৎপল্লীর বাসিন্দা পরিবার এই জয় পেয়েছেন। দুর্গাপুর আদালতের রায়ে তারা নিজেদের জমি হাতে পেলেন। যে কারণে খুশির জোয়ার তাদের গোটা পরিবার। কিন্তু আসলে কী হয়েছিল? জানা গিয়েছে, গত ১৯৭৭ সালে গোরাচাঁদ নায়েক আসানসোল আদালতে মামলা করেন।
advertisement
দুর্গাপুরের শরৎপল্লীতে জমি বিক্রি করে দেওয়া নিয়ে মামলা করা হয়। জমি হস্তান্তরের জন্য শরিকি বিবাদের হয়েছিল। এই জমি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল কল্যাণী নন্দীর কাছে। স্বর্গীয় গোরাচাঁদ নায়েকের অভিযোগ ছিল, সেই জমি ঠিকভাবে বিক্রি করা হয়নি। মৃত মামলাকারীর ছেলে অজিতেশ নায়েক বলেন, বাবা গোরাচাঁদ নায়ক প্রয়াত হয়ে যাওয়ার পরও দুর্গাপুর আদালতে মামলা এনে আমরা মামলা চালিয়ে গিয়েছি। স্থানীয় নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে হারানো জমি উদ্ধার করা গিয়েছে।
এই বিষয়ে আইনজীবী প্রদীপ সাধু জানিয়েছেন, আমরা হাল ছাড়িনি। গোরাচাঁদ নায়েক মামলা করেছিলেন আসানসোল আদালতে। তিনি মারা যাওয়ার পর তার ছেলেরা মামলাটি দুর্গাপুর আদালতে নিয়ে আসেন। কিন্তু বাবার করা মামলাটি ছেলেরা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। মামলায় জয়ী হওয়ার আশাতেই তাঁরা লড়াই করে গিয়েছেন।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র দিয়েই মামলার কাজ করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত জমির মূল্য নির্ধারণ করা যায়নি। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই জমির মূল্য নির্ধারণ করে কাজে এগোনো যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন। অন্যদিকে দীর্ঘ লড়াই চালানোর পর দুর্গাপুর আদালতের রায়ে খুশি অজিতেশ নায়ক এবং তার পরিবার।