জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতের পর থেকেই দেখা দিয়েছে এই সমস্যা। কয়লার অভাবে বন্ধ হয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। যার ফলে সপ্তম এবং অষ্টম ইউনিট চালানো সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে, তা সরবরাহ করা হচ্ছে। তাতে কিছুটা সামাল দেওয়া যাচ্ছে পরিস্থিতি। তবে কয়লার অভাবে যদি বিদ্যুৎ উৎপাদন আগামী বেশ কয়েকটা দিন আরও বন্ধ থাকে, তাহলে যে পরিস্থিতি বেশ জটিল হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কনফার্ম টিকিট আচমকা চলে গেল ওয়েটিং লিস্টে! আশ্চর্য কাণ্ড পুরুলিয়ায়! উঠছে প্রশ্ন
উল্লেখ্য, ডিপিএলের সপ্তম ইউনিটটি ৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন। আর ২৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতা রয়েছে অষ্টম ইউনিটটির। সূত্রের খবর, শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরে গ্রীষ্মকালে প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকে। ফলে বিদ্যুৎ জোগান দিতে খুব সমস্যা হয় না। কিন্তু বিগত কয়েকদিন ধরেই কয়লার অভাব রয়েছে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে। যে কারণে বিগত কিছুদিন ধরে দুটি ইউনিটকে একসঙ্গে পূর্ণ ক্ষমতায় চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তার মধ্যেই মঙ্গলবার কয়লার অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ দিঘায় প্রবল উত্তাল সমুদ্র আছড়ে পড়ছে, মুহুর্মুহু এ কী ঘটছে! দিশেহারা পর্যটকরা
এ প্রসঙ্গে ডিপিএলের একজন সংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, সাময়িক সমস্যা হয়েছে। তা খুব দ্রুত মেটানোর চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। অনেকেই বলছেন, ডিপিএলের হাতে রয়েছে নিজস্ব কয়লা খনি। বাঁকুড়ার বড়জোরার কাছে রয়েছে ট্রান্স দামোদর কয়নাখনি। কিন্তু নানা কারণে সেই কয়লা খনি পুরোদমে চালু করা যায়নি। এ ছাড়াও কোল ইন্ডিয়ার কাছে কয়লা কিনে থাকে ডিপিএল।
তাহলে কেন কয়লা সংকট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে?
ডিপিএলের এক সংগঠনের নেতা বলছেন, এখন বর্ষার সময়। কয়লার জোগান কম হওয়ার কথা নয়। পরিকল্পনা করে বাইরে থেকে কয়লা কেনার জন্য এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে এক সিটু নেতার দাবি, একদিনে এমন বিষয় তৈরি হয়নি। আগে থেকে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? কেন নিজস্ব কয়লা খনি থাকতেও, বাইরে থেকে কয়লা কিনতে হচ্ছে?
তবে রাজনৈতিক মতধারাকে বাদ দিয়ে চিন্তিত শিল্পাঞ্চলবাসী। যদি কয়লার অভাবে দীর্ঘদিন ডিপিএলে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকে, তাহলে দুর্গাপুরের একটি বড় অংশ অন্ধকারে ডুবে যাবে। তাই দুর্গাপুরবাসী চাইছেন, যত দ্রুত সম্ভব ডিপিএলের সমস্যা মিটে যাক।
Nayan Ghosh