তিনি বলতে পারছেন না নিজের নাম। বলতে পারছেন না নিজের বাড়ির ঠিকানাও। কখনও বলছেন তাঁর বাড়ি ঝাড়খন্ডে। কখনও আবার বলছেন তাঁর বাড়ি হুগলি জেলায়। বছর ষাটের ওই রোগীকে নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল।
আরও পড়ুন: ভাইবোনের ঝগড়ার মাঝেই ধারালো ছুরি দিয়ে কোপ! মারাত্মক কাণ্ড জলপাইগুড়িতে
অন্যদিকে, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই রোগীর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় এক লক্ষ টাকা। নিজের নাম ঠিকানা বলতে না পারা ওই রোগীর পকেট থেকে ৯৯ হাজার টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও কোথা থেকে এই টাকা এল, কী জন্য এতগুলি টাকা নিয়ে তিনি রাস্তায় বেরিয়েছিলেন, সে বিষয়েও কোনও উত্তর দিতে পারেননি তিনি। বিষয়টি জানতে পারার পর দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ধীমান মন্ডল উদ্যোগ নিয়ে ওই টাকা উদ্ধার করে নিজের হেফাজতে রেখেছেন। কিন্তু এক মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীর কাছে কীভাবে এতগুলি টাকা এল, তা ভাবাচ্ছে চিকিৎসক এবং পুলিশ কর্মীদের।
advertisement
আরও পড়ুন: রেললাইনে বসে আড্ডা চলছিল ৩ জনের, আচমকাই ট্রেনের ধাক্কা! মুহূর্তের মধ্যে সব শেষ
এই বিষয়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে সুপার ধীমান মন্ডল জানিয়েছেন, ওই রোগীর চিকিৎসা চলছে। কিন্তু তিনি নিজের নাম, ঠিকানা কিছুই বলতে পারছেন না। যদি কোনও ভাবে ওই রোগীকে চিহ্নিত করা যায়, বা ওই রোগীর আত্মীয় পরিজনরা হাসপাতালে সঙ্গে যোগাযোগ করেন, তাহলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কিছুটা সুবিধা হবে। সুবিধা হবে ওই রোগীর চিকিৎসা করতেও। সেজন্য মহকুমা হাসপাতালে সুপার জানিয়েছেন, সংবাদ মাধ্যম দেখে যদি ওই রোগীর নাম ঠিকানা সম্পর্কে কোনও তথ্য পাওয়া যায়, তাহলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে ওই রোগীর চিকিৎসা করতে, ওই রোগীর দেখাশোনা করতে অনেকটা সুবিধা হবে।
নয়ন ঘোষ