পরিবার সূত্রে জানা যায়, বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির দুর্গাপুজোর সূচনা হয় প্রায় ৩০০ বছর আগে। তবে পরিবারের কোন পূর্বপুরুষ এই পুজোটির সূচনা করেছিলেন, তা অজানা। স্বর্গীয় রামযাদব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বংশধরেরা বর্তমানে এই পুজোটির দায়িত্বে রয়েছেন। পরিবারের সদস্য দেবিদাস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সূচনাকালে মন্দির ছিল মাটির ছাউনির। ছাদ ছিল হোগলা পাতার। বেশ কয়েকবার মন্দিরটি সংস্কার করা হয়েছে। মন্দিরের পুরনো কাঠামো ভেঙে ২০১৬ সালে সুদৃশ্য পাকা মন্দির তৈরি করা হয়েছে।
advertisement
বর্তমানে পুজো পরিচালনার দায়িত্বভার রয়েছে বাড়ির তিন শরিক পরিবারের উপর। পরিবারের শান্তিপুজো বিশেষ আকর্ষণ স্থানীয়দের কাছে। কারণ এখানে, বৈষ্ণব মতে হয় সন্ধিপুজো। সেই ঘটনার সাক্ষী থাকতে হাজির হন গ্রামের সকলে। বাংলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজোগুলির জড়িয়ে আছে নানা কাহিনি। যা বর্তমান প্রজন্মের কাছে প্রাচীন বনেদি বাড়ির পুজোগুলির প্রতি আকর্ষণের অন্যতম কারণ।
উল্লেখ্য, ছাগবলির প্রথা নেই এই দুর্গাপুজোয়। পরিবর্তে নাড়ু বলির প্রচলন রয়েছে এই বাড়ির দুর্গা পুজোয়। মহালয়ার দিন থেকে দশমীর দিন পর্যন্ত পরিবারে আমিষ রান্না হয় না। পরিবারের অপর সদস্য কাঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অষ্টমীর সন্ধিপুজোয় আড়াই কেজি ওজনের নাড়ু বলি হয়। সমস্ত শুদ্ধাচার মেনে নাড়ুটি তৈরি করেন পরিবারের কোনও এক সদস্য। বলির জন্য ব্যবহার করা হয় না কোনও অস্ত্র।






