সকলের বক্তব্য একটাই, যেন বিধানচন্দ্র রায়ের স্বপ্নকে রক্ষা করা যায়। যেন তার স্বপ্নকে বাস্তবের রূপ দিয়ে দুর্গাপুর শহরকে উন্নত করে তোলা যায়। উল্লেখ্য, বিধানচন্দ্র রায় বাংলার উন্নতিতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করেছেন। তাকে আধুনিক বাংলার রূপকার বলা হয়। তাছাড়াও তিনি শহর দুর্গাপুর তৈরি করতে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছেন। জহরলাল নেহেরুর পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মাধ্যমে দুর্গাপুরে দামোদর নদীর উপর একটি বাঁধ তৈরি করা হয়। যা দুর্গাপুর ব্যারেজ নামে পরিচিত। সেই ব্যারেজ নির্মাণের পর দুর্গাপুরকে বাংলার শিল্পক্ষেত্র বানিয়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন বিধানচন্দ্র রায়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জানেন কি! সিয়ারশোল রাজবাড়ির রথে রয়েছে একাধিক চমক
তার উদ্যোগে তৈরি হয় দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেড বা ডিপিএল। তারপর তৈরি হয় দুর্গাপুর স্টিল প্লান্ট। এরপর আস্তে আস্তে আরও নানান কলকারখানা গড়ে ওঠে দুর্গাপুরে। দামোদর নদীর জল আর ডিপিএল - এর বিদ্যুতে গড়ে ওঠে নানান কারখানা। বদলাতে শুরু করে দুর্গাপুরের অর্থনৈতিক ভাগ্য। এরপর আস্তে আস্তে একসময়ে জঙ্গলাকীর্ণ এলাকা পরিণত হয় অত্যাধুনিক শহরে। যদিও বর্তমানে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেডের অবস্থা রুগ্ন। তবুও শহর দুর্গাপুর এখনও বিধানচন্দ্র রায়ের অক্লান্ত পরিশ্রম আর স্মৃতিকে সঙ্গে করে স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ইসকন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিশেষ চমক দুর্গাপুরে! বিশাল রথ তৈরি হয়েছে দানে
দুর্গাপুরের বিভিন্ন প্রবীন মানুষজন বলছেন, বিধানচন্দ্র রায়ের সব স্বপ্নগুলির যদি বাস্তবায়ন হতো, তাহলে আজ দুর্গাপুর শহরের চিত্র আরও অন্যরকম হতে পারত। তাই আমাদের উচিত বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সেই সমস্ত স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দেওয়ার। তাহলে ফের সেই রূপ ফিরে পাবে শহর দুর্গাপুরে। সমৃদ্ধ শহরের পুরনো আমেজ আবার ফিরে আসবে। আরও কলকারখানা গড়ে উঠবে শহরের অর্থনৈতিক চাকা আবার ঘুরে দাঁড়াবে। আর সেই সমস্ত প্রতিশ্রুতি নিয়েই দুর্গাপুর শহরে শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হল বিধানচন্দ্র রায়ের ১৬০ তম জন্ম দিবস।
Nayan Ghosh