বিক্ষোভকারীদের দাবি, সেই সময় কারখানার আধিকারিক এর আশ্বাসে বিক্ষোভ তোলেন তারা। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত সমস্যার কোন সমাধান না হওয়ায়, আবার বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই ঠিকা শ্রমিকরা। তবে কারখানা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সেই মুহূর্তে কারখানার ওই আধিকারিককে সামনে পেয়ে বিক্ষোভরত শ্রমিকরা তাকে হেনস্তা করেন। পাশাপশি তার সঙ্গে ঠিকা শ্রমিকদের বচসা ও ধাক্কাধাক্কি হয় বলে অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আসানসোলে বিধান উপাধ্যায়ের হয়ে তৃণমূলের মেগা প্রচার
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ফরিদপুর থানার পুলিশ। কিন্তু পরের দিন সকালেও ওই ঠিকা শ্রমিকরা তাদের পাওনা গন্ডার মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে কারখানা চত্বরে এসে হাজির হন। ঠিকা শ্রমিকদের দাবি, তাদের এলাকায় কারখানার কারণে এলাকার জল দূষিত হচ্ছে। রাস্তাঘাটে লাইট নেই। পুকুরে মাছের চাষ হচ্ছে না। এতসব কিছু মেনে নিয়েই এলাকার মানুষ কারখানায় শ্রম দিচ্ছেন। অথচ কারখানা কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদার তাদের নায্য পারিশ্রমিক না দিয়ে, তিন মাস ধরে ফিরিয়ে দিচ্ছে বারবার।
আরও পড়ুনঃ দেশের প্রথম সিডিএস-এর প্রথম মূর্তি তৈরি আসানসোলে
বিক্ষোভকারী এক ঠিকা শ্রমিক বিশ্বনাথ পাল কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, শীঘ্রই যদি তাদের সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে কারখানার বন্ধ করে বৃহত্তর আন্দোলনের নামবেন তারা। অন্যদিকে এই বিষয়ে কারখানার এক আধিকারিক ফোনালাপে জানিয়েছেন, কারখানায় ঠিকা শ্রমিকরা, যে ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন, সেই ঠিকাদার শ্রমিকদের বকেয়া টাকা দেননি। কিন্তু চুক্তি মত সেই ঠিকাদারকে কারখানার তরফে সমস্ত টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে সমস্ত কিছু পুলিশকে জানানো হয়েছে। শীঘ্রই ওই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি যাতে ঠিকা শ্রমিকরা তাদের বকেয়া পাওনা শীঘ্রই ফিরে পান, তারও ব্যবস্থা হবে।
Nayan Ghosh