জানা গিয়েছে, লাউদোহা লস্কর বাঁধ এলাকার বাসিন্দা হপনা সোরেন। তিনি ইসিএলের প্রাক্তন কর্মচারী। ঘটনার সময় বাড়িতেই ছিলেন তিনি। পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে শৌচকর্মে যাওয়ার সময় ঘর থেকে তিনি ধোঁয়া বার হতে দেখেন। এরপর তিনি আশপাশের লোকজনকে ডেকে আনেন এবং ঘর খুলে দেখতে পান তিন ছেলে মেয়ে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন।
advertisement
জানা গিয়েছে, তার ছেলে মঙ্গলা সোরেন লাউদোহা থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বড় মেয়ে সুমি সোরেন কলকাতার একটি হাসপাতালে নার্সের কাজ করতেন। সপ্তাহ দুয়েক আগে তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন। আর এক মেয়ে সুকুমনি সোরেন থাকতেন বাড়িতেই। কিন্তু কী ভাবে বাড়িতে আগুন লাগল? কী ভাবে তাঁরা সকলে একসঙ্গে মারা গেলেন? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: প্রথম সংসার ভেঙে চুরমার! আশিসের ২য় বিয়ে নিয়ে বিস্ফোরক প্রাক্তন শাশুড়ি শকুন্তলা
আরও পড়ুন: কলকাতায় সারা আলি খান, মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে খেলেন ফুচকা, চাখলেন মিষ্টি
এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, তিন ভাইবোন সকলেই খুব শান্ত স্বভাবের ছিলেন। বাড়িতে কোনও অশান্তি ছিল না। ছিল না কোনও কলহ। কেন এমন ঘটনা, সে বিষয়ে তারাও কিছু বুঝতে পারছেন না। জানা গিয়েছে, হপনা সোরেনের স্ত্রী কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। তার পর থেকে বাড়িতে ছোট মেয়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি। ছেলে থানায় কর্মরত ছিলেন। আর বড় মেয়ে থাকতেন কলকাতায়। তিনজনের একসঙ্গে মৃত্যুতে যেমন একাধিক প্রশ্ন উঠছে, ঘনাচ্ছে রহস্য। তেমনভাবেই এই মৃত্যুর ঘটনাই এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ঘটনাস্থলে আসে লাউদোহা থানার পুলিশ। দেহগুলিকে ময়নাতদন্তে জন্য পাঠানো হয়েছে।
নয়ন ঘোষ





