এমনই একজন শিল্পী অর্পিতা সমাদ্দার। যাঁর হাতে তৈরি তালের আঁটির ওপর রবি ঠাকুরের মুখমণ্ডল সোশ্যাল মিডিয়ায় হু হু করে ভাইরাল হয়েছিল। তাঁর পরে তিনি একের পর এক তালের আঁটির ওপরেই ফুটিয়ে তুলেছিলেন লোকনাথ, প্রেমানন্দ মহারাজ সহ বিভিন্ন ব্যক্তিত্বের মুখমণ্ডল। পাশাপাশি গাছের গোড়া থেকে লতাপাতায় ও ফুল-ফলে ছবি এঁকে একের পর এক নজির গড়ে চলেছেন তিনি।আঁকতে গেলে কাগজ কলমের প্রয়োজন পরেনা অর্পিতার। প্রকৃতির ক্যনভাসে অর্থাৎ জীবন্ত কচুপাতা, পদ্মপাতা, গাছে ধরে থাকা আম, জবা ফুলের পাঁপড়িতেও মুহূর্তে ফুটিয়ে তুলতে পারেন তিনি রংবেরঙের ছবি।
advertisement
আরও পড়ুন: পোনা মাছ ধরার জালে দৈত্যাকার কচ্ছপ, তুলতে গিয়ে হিমশিম খেলেন মৎস্যজীবী! ওজন জানলে মাথা ঘুরে যাবে
জানলে অবাক হবেন, কাশফুলের ওপরেও দুর্গা প্রতিমার রূপ দিয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন। অর্পিতা দুর্গাপুর গভর্নমেন্ট আইটিআই কলেজের পড়ুয়া। পাশাপাশি তিনি বড়জোড়া কলেজের স্নাতকের ছাত্রী।পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর লাগোয়া বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া থানার শ্রীপল্লী কলোনির বাসিন্দা তিনি। তাঁর বাবা অসীম সমাদ্দার পেশায় ইলেক্ট্রিশিয়ান। মা অঞ্জলি সমাদ্দার গৃহবধূ। অর্পিতা ছোটবেলা থেকেই আঁকাআঁকি পছন্দ করতেন। পাশাপাশি শৈল্পিক গুণাবলিও ছিল তাঁর মধ্যে। তাই তাঁর বাবা – মা তাঁকে ছোটোবেলায় আঁকার স্কুলে ভর্তি করে দেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কিন্তু অর্পিতার আঁকার স্কুলের প্রশিক্ষণে মন বসেনি। তিনি নিজেই বাড়িতে আঁকাআঁকি শুরু করেন। নিজের শৈল্পিক গুণকে কাজে লাগিয়ে চিত্রকলা সহ মাটির তৈরি নানান শিল্পকলা শুরু করেন তিনি। তবে অর্পিতা কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়াই শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া দেখেই শিখেছেন পেন্টিং, ক্লে আর্ট, চারকোল আর্ট, পেন্সিল স্কেচ , ক্যানভাস ইত্যাদি নানান শিল্পকলা। তাঁর আঁকাআঁকিতে অনুপ্রাণিত হয়ে এলাকার প্রায় ৪০ জন পড়ুয়া অর্পিতার কাছে আঁকা শিখছে বর্তমানে। কলেজের মেধাবী পড়ুয়া অর্পিতার এমন শৈল্পিক গুনের কদর রয়েছে সেখানেও। পাড়া প্রতিবেশী সহ শিক্ষকদেরও অত্যন্ত প্রিয় অর্পিতা।





