চারিদিকে সবুজ গাছ-গাছালিতে ভারপুর হলেও তারই মাঝে দৃষ্টিকটু হয়ে উঠেছে বেশ কিছু স্বার্থপর ব্যবসায়ীদের কর্মকাণ্ড। যারা নিজেদের ব্যবসার প্রসার ঘটাতে বৃক্ষ দমন করে চলেছেন অবাধে। নিজেদের বেসরকারি সংস্থা জনপ্রিয় করতে গাছে গাছে পেরেক ঠুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে চলেছে অবাধে।
advertisement
তার নিজের ব্যবসার প্রসার ঘটলেও বহুবছর ধরে প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে ওঠা তথা জীবকূলকে অক্সিজেন দিয়ে আসা গাছপালার মৃত্যু ডেকে আনছে বলে অভিযোগ পরিবেশবিদদের। পরিবেশবিদের দাবি, গাছ সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন উৎপন্ন করে, যা সমস্ত প্রাণীকুলের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য অপরিহার্য। একথা কারও অজানা নয়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে গাছপালা কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে অক্সিজেন ত্যাগ করে। যার ফলে অসংখ্য প্রাণী ও পাখির আবাসস্থল-সহ জীবজগতে একমাত্র নির্ভরশীল হল গাছপালা।
এছাড়াও খাদ্য, ওষুধ, কাঠ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণের উৎস হল গাছ। সেই জন্যই “একটি গাছ একটি প্রাণ” এই স্লোগানটি আমাদের গাছ লাগাতে এবং পরিবেশ রক্ষায় সচেতন হতে অনুপ্রাণিত করে। উল্লেখ্য, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে সুশিক্ষিত মানুষের বসবাস। পাশাপাশি সংস্কৃতি প্রিয় ও প্রকৃতি প্রেমিকদের বসবাস। যার কারণে শিল্পাঞ্চল হলেও দুর্গাপুর “গ্রীন সিটি” মতো খ্যাতি লাভ করেছে। কিন্তু এই “গ্রীন সিটি” তে বসবাসকারী কিছু অসাধু ও অসচেতন মানুষ নিজ স্বার্থে গাছের ক্ষতি করে চলেছে বিজ্ঞাপন দিয়ে। নির্দ্বিধায় গাছে পেরেক ঠুকে লাগাচ্ছে বড় বড় হোডিং, ব্যানার।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এমনই দাবি প্রকৃতি প্রেমী তথা পরিবেশবিদদের। তাঁরা বহুবার উদ্যোগ নিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সমস্ত ব্যানার খুলে দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও অসচেতন মানুষদের টনক নড়ে না। শহরবাসীর কাছে তাঁদের আবেদন, গাছের ক্ষতি করা থেকে সকলকে বিরত থাকতে হবে এবং প্রতিটি সচেতন মানুষকে সেই সমস্ত অসচেতন ব্যক্তিদের সচেতন করার দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। তবেই দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল আরও সবুজ হয়ে উঠবে।





