Business News: প্লাস্টিকে ভরা বাজারেও তুঙ্গে চাহিদা! হাতের কাছেই কাঁচামাল, বিনিয়োগ নামমাত্র! 'এই' কাজে হেসেখেলে চলছে সংসার

Last Updated:

West Bardhaman Business News: প্লাস্টিক সামগ্রীর বাড়বাড়ন্তে আজও কদর কমেনি বাঁশের ঝুড়ির। শহরে বসেই ঝুড়ি বুনে আয় করছে মাহালি সম্প্রদায়। 

+
ঝুড়ি

ঝুড়ি বুনছেন গৃহবধূ 

দুর্গাপুর, দীপিকা সরকার: বর্তমানে বাজার জুড়ে চোখে পড়ে কেবল প্লাস্টিক সামগ্রীর বাড়বাড়ন্ত। তবে নিত্যনতুন জিনিস বাজারে যতই আসুক না কেন, ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরি ঝুড়ি কুলোর কদর রয়েছে আজও।বিশেষ কিছু অনুষ্ঠানে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে বাঁশের ঝুড়ি কুলোর চাহিদা এতটাই বেড়ে যায়, যে ভিন রাজ্য থেকেও ঝুড়ি আসে বাজারে। দুর্গাপুর শহরে প্রায় ৩০ -৪০ বছর ধরে এই বাঁশের ঝুড়ি বুনেই চলছে মাহালি সম্প্রদায়ের জীবন-জীবিকা। ভিন রাজ্যের বাসিন্দা হলেও বহু যুগ আগেই কর্মসংস্থানের খোঁজে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে এসে পৌঁছেছিলেন ওই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। ডেরা বেঁধেছিলেন দুর্গাপুরে।
কেবল ঝুড়ি বুনে সেখানে তেমন আয় না হওয়ায় তাঁরা বিকল্প আয়ের আশায় শিল্পাঞ্চলে এসে হাজির হন। মাহালিদের বসবাস শুরু হয় বর্তমানের দুর্গাপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজরা এলাকায়। বংশানুক্রমে ঝাড়খণ্ডের মাহালি পরিবারের জীবন-জীবিকা বাঁশের ঝুড়ি সহ নানান সামগ্রী তৈরি। শিল্পাঞ্চলে এসে তাঁরা প্রায় ৬০ বছর আগে জনবসতি গড়ে তোলেন। কলকারখানা সহ চাষাবাদে দিনমজুরের কাজে নিযুক্ত হন ওই পরিবারের সদস্যরা। কোনও দিন কাজ পান বা আবার কখনও বন্ধ থাকে।
advertisement
advertisement
তাই পেটের টানে মাহালি সম্প্রদায়ের মানুষ ভারি কাজের ফাঁকে বা কলকারখানায় নিত্যদিন কাজ না মেলায় নিজেদের পেশায় ফিরে আসতে ব্যাধ্য হয়েছে বলে দাবি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজরা এলাকায় মাহালি সম্প্রদায়ের বসবাস। ওই এলাকার নামও মাহালিপাড়া। মাহালি সম্প্রদায়ের মানুষ মূলত ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী সম্প্রদায়। বহু যুগ আগে তাঁরা রুটিরুজির টানে শিল্পাঞ্চলে আসেন। শিল্পাঞ্চলে এসে ওই সম্প্রদায়ের লোকজন কলকারখানায় ও শহরের নানান প্রান্তে দিনমজুরের কাজে নিযুক্ত হন। কিন্তু তাঁদের বংশপরম্পরায় আদি জীবিকা বাঁশের তৈরি ঝুড়ি, কুলো সহ বাঁশের নানান সামগ্রী।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যা আজও শহরের বুকে বানিয়ে তাঁরা অর্থ উপার্জন করে চলেছেন। দুর্গাপুরের বাজারে ঝুড়ির ভাল চাহিদা রয়েছে বলে দাবি ওই ঝুড়ি কারিগরদের। চাহিদা মেটাতে না পারায় ভিন রাজ্য থেকে ঝুড়ি আসে শিল্পাঞ্চলের বাজারে। প্লাস্টিকের ঝুড়ি যতই বাজারে আসুক, ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরি ঝুড়ির চাহিদা ও কদর কখনও কমবে না। ওই পরিবারের বাড়ির দুয়ারেই রয়েছে বাঁশ বাগান। অর্থাৎ ঝুড়ি বানানোর কাঁচামালের জন্য খুব একটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়না ঝুড়ি কারিগরদের। শহরের বুকে ঝুড়ি তৈরি করাই নানান সুবিধা পান তাঁরা। ঝুড়ির আনুষাঙ্গিক অন্যান্য কাঁচামাল মেলে সহজেই। পাশাপাশি তৈরি করা ঝুড়ি বাজারজাত করতেও সমস্যায় পড়তে হয়না মাহালিদের।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Business News: প্লাস্টিকে ভরা বাজারেও তুঙ্গে চাহিদা! হাতের কাছেই কাঁচামাল, বিনিয়োগ নামমাত্র! 'এই' কাজে হেসেখেলে চলছে সংসার
Next Article
advertisement
MGNREGA: উঠে যাবে মনরেগা, নতুন প্রকল্প কেন্দ্রের! একশো দিনের কাজের তুলনায় বাড়বে উপার্জন, সংসদে আসছে বিল
উঠে যাবে মনরেগা, নতুন প্রকল্প কেন্দ্রের! একশো দিনের কাজের তুলনায় বাড়বে উপার্জন, আসছে বিল
  • নাম পাল্টে যেতে পারে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের

  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদলে হবে ভিবি-জি রাম জি

  • ১০০ দিনের পরিবর্তে ১২৫ দিনের কাজের নিশ্চয়তা দিতে চলেছে কেন্দ্র সরকার

VIEW MORE
advertisement
advertisement