জানা গিয়েছে, ফেলে দেওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে তৈরি করা হবে এই মণ্ডপ। তবে এর থেকেও বেশি নজর কাড়ছে চন্দ্রযান অভিযান। চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণের পরেই এই থিম বেছে নিয়েছিলেন পুজো কমিটির সদস্যরা। মণ্ডপ তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শান্তিনিকেতনের শিল্পী ঝুলন মেহাতারিকে।
জুলাই মাসে এই থিম ঠিক করেন পুজো কমিটির উদ্যোক্তা এবং শিল্পী। কিন্তু চন্দ্রযান অভিযান সফল হওয়ার পরে এই বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা বদলে গিয়েছে শিল্পীর মনে। উদ্যোক্তারাও চাইছেন চন্দ্রযান তিন অভিযান নিয়ে যে মণ্ডপ তৈরির কথা তাঁরা ভেবেছিলেন সেখানে অভিযানের সফলতার বিষয়টিও তুলে ধরতে।
advertisement
অর্থাৎ, দুর্গা পুজোর মণ্ডপে, চাঁদের মাটিতে বিক্রমের সফট ল্যান্ডিং, রোভার প্রজ্ঞান ইত্যাদিকেও তুলে ধরতে চাইছেন উদ্যোক্তারা। প্রথমে ঠিক করা হয়েছিল, চন্দ্রযানের যে লঞ্চার ভেহিকেল অর্থাৎ রকেট, সেই রকম ভাবে তৈরি করা হবে মণ্ডপ। ভিতরে মহাকাশচারীদের মডেল তৈরি করা হবে। কিন্তু চন্দ্রযান তিনের সফল ল্যান্ডিংয়ের পর সেগুলিও তুলে ধরা হবে মণ্ডপের মধ্যে। সেখানে চাঁদের মাটি তুলে ধরার ইচ্ছা যেমন রয়েছে শিল্পীর মনে, তেমনভাবেই প্রজ্ঞান বা বিক্রমকেও তুলে ধরতে চাইছেন উদ্যোক্তারা।
শিল্পী জানিয়েছেন, যে গুরুদায়িত্ব তিনি কাছে নিয়েছেন, তা সফল করতে তারা নানারকম চিন্তা ভাবনা করছেন। কিন্তু প্রথমে যে চিন্তাভাবনা থেকে কাজ শুরু হয়েছিল, ইসরোর অভিযান সফল হওয়ার পর, সেখানে আরও অনেক কিছু যুক্ত হয়েছে। সেগুলি দর্শকদের সামনে নিখুঁতভাবে উপস্থাপন করতে তাঁরা চেষ্টা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে, সিমজুরি সর্বজনীন পুজো কমিটির এক উদ্যোক্তা জানিয়েছেন, ‘‘আমরা ভেবেছিলাম চন্দ্রযানের রেপ্লিকা তৈরি করলেই আমাদের মণ্ডপ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। কিন্তু আরও নতুন কিছু চিন্তাভাবনা আমাদের মাথায় এসেছে। সেগুলি আমরা মণ্ডপের মধ্যে তুলে ধরব।’’
আরও পড়ুন: জাতীয় সড়কের আন্ডারপাস যেন মরণফাঁদ! দ্রুত মেরামতি না হলেই সর্বনাশের আশঙ্কা
উল্লেখ্য, আসানসোল-দুর্গাপুরে একাধিক নামীদামি দুর্গা পুজো হয়। থাকে নানারকম থিমের টক্কর। সেই তালিকায় রেল শহর চিত্তরঞ্জনও বাদ যায় না। সেখানেও বেশ কিছু বড় বড় পুজো হয়। যেগুলির থিম, চিন্তা ভাবনাও সকলের নজর কাড়ে। চিত্তরঞ্জনে যতগুলি বড় পুজো হয়, তার মধ্যে অন্যতম সিমজুরি সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি। তাদের থিম প্রত্যেক বছর দর্শকদের অবাক করে এ বছর তাদের চন্দ্রযান থিম আরও বেশি মানুষকে আনন্দ দেবে বলেই আশা করছেন উদ্যোক্তারা।
Nayan Ghosh