এমন মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়। সেখানকার লালবাবা আশ্রম সংলগ্ন জলাশয় থেকে উদ্ধার হয় গোপাল হালদারের দেহ। মৃতের ভাই জানান, দাদা মাছ ধরার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় কেটে যাওয়ার পরও তিনি বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যদের চিন্তা হয়। এরপর রাতের দিকে তাঁরা খবর পান লালবাবা আশ্রম সংলগ্ন দামোদরের চড়ে এক ব্যক্তির দেহ ভাসছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ছুটে যান। দেখেন সেটি গোপাল হালদারের দেহ। তাকে দ্রুত জল থেকে তুলে পানাগড় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসকরা গোপাল হালদারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ST তালিকাভুক্ত ও পৃথক ধর্মের দাবিতে ফের কুড়মিদের রেল অবরোধ! বাতিল ৪৭ টি ট্রেন, রইল তালিকা
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় প্রতিদিনই মাছ ধরতে বেরোতেন গোপালবাবু। এটাই ছিল তাঁর নেশা। মঙ্গলবারও তিনি মাছ ধরতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন। কিন্তু কোনভাবে জলে পড়ে যাওয়াতেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে মনে করছেন পরিজনরা।
এদিকে পরিবারের থেকে খবর পেয়ে কাঁকসা থানার পুলিশ এসে ওই মৎস্যপ্রেমীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। কী করে গোপাল হালদারের মৃত্যু হল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
নয়ন ঘোষ