১২ সদস্যের দলের একজন শ্যামলেন্দু রায় তার বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছেন, তারা অমরনাথ দর্শনের পর কিছুটা নিচে নেমে এসে লঙ্গরখানায় দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে তারা শুনতে পান 'ভাগো, ভাগো'। তখন তারা পড়িমরি করে লঙ্গরখানার বাইরে ছুটে আসেন। তখন দেখতে পান পাহাড় থেকে বিশাল জলরাশি ছোট-বড় বহু পাথর সঙ্গে নিয়ে নিচের দিকে নেমে আসছে। সঙ্গে সঙ্গেই তারা উপরের দিকে উঠতে চেষ্টা করেন। সঙ্গে থাকা অন্যান্য দু একজন জলের তোড়ে ভেসে চলে যান। যখন তারা খাওয়া শুরু করতে লঙ্গরখানায় ঢোকেন, তখনই তারা দেখেন প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি। তবে তাদের এমন ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে বলে আশঙ্কা করেননি তারা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জন্মদিনে কেক কেটে জ্যোতি বসুকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শিল্পী সুশান্ত রায়ের
আসানসোলের ওই দলের বেশ কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন, তাদের ব্যাগ পত্র, টাকা-পয়সা সব জলের তোড়ে ভেসে চলে গিয়েছে। তারা পাহাড়ে ওপর দিকে ওঠার সময় কেউ কেউ আছড়ে পড়ে গিয়েছেন। যদিও তারা উপরের দিকে ওঠার পর বিভিন্ন তাবুতে আশ্রয় নিয়েছেন। পুলিশ এবং সেখানে থাকা উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা যাদের যেদিকে পাঠিয়েছেন, সেখানে গিয়ে তারা আশ্রয় নিয়েছেন। ফোনে নেটওয়ার্ক না থাকা, ফোনের চার্জ না থাকার ফলে বাড়িতে যোগাযোগ করতে গিয়ে চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের। যদিও মাঝে মধ্যে পুলিশ কর্মী এবং উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের কাছে ফোন নিয়ে বাড়িতে যোগাযোগ করে নিজেদের প্রাণে বেঁচে থাকার খবরটুকু পাঠাচ্ছেন, যাতে করে বাড়ির লোকের দুশ্চিন্তা দূর হয়।
আরও পড়ুনঃ যাত্রাশিল্পের উন্নতির জন্য বুকিং সেন্টার বাড়ানোর নিদান
অন্যদিকে এই খবর পাওয়ার পর থেকে ব্যাপকভাবে উদগ্রীব রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। ফোনে সামান্য কথা বলতে পারলেও, দলের সব সদস্যরা এখনও বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করে উঠতে পারেননি। বাড়ির লোকজন প্রার্থনা করছেন, তাদের ছেলেরা সুস্থ অবস্থায় দ্রুত বাড়ি ফিরে আসুক। আর সর্বক্ষণ নজর রেখে চলেছেন সংবাদ মাধ্যমে। পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নিতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।
Nayan Ghosh