Paschim Bardhaman: যাত্রাশিল্পের উন্নতির জন্য বুকিং সেন্টার বাড়ানোর নিদান
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
একটা সময় বাংলার যেকোনও উৎসবের দিনে মনোরঞ্জনের অন্যতম ব্যবস্থা ছিল যাত্রাপালা। গ্রামগঞ্জ থেকে শুরু করে শহরাঞ্চল, বিভিন্ন জায়গায় নানা অনুষ্ঠান উপলক্ষে যাত্রাপালার আয়োজন করা হত।
#পশ্চিম বর্ধমান : একটা সময় বাংলার যেকোনও উৎসবের দিনে মনোরঞ্জনের অন্যতম ব্যবস্থা ছিল যাত্রাপালা। গ্রামগঞ্জ থেকে শুরু করে শহরাঞ্চল, বিভিন্ন জায়গায় নানা অনুষ্ঠান উপলক্ষে যাত্রাপালার আয়োজন করা হত। তবে টেলিভিশনের জনপ্রিয়তা যত বেড়েছে, ততই রুগ্ন হয়েছে এই শিল্প। আর বর্তমানে OTT এর যুগে যাত্রা শিল্প নিজের অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের উপার্জনের জন্য লড়াই চালাতে হচ্ছে যাত্রা শিল্পীদেরও। সেই যাত্রাশিল্পকে বাঁচিয়ে তুলতে এবার উদ্যোগী হলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। পাশাপাশি যাত্রা দলের মালিকরাও এই শিল্পকে বাঁচিয়ে তুলতে নানা রকম পরিকল্পনা করেছেন। কলকাতার চিতপুর যাত্রা বুকিং এর জন্য অত্যন্ত সুপরিচিত। তবে দক্ষিণবঙ্গে যাত্রা বুকিং এর জন্য অন্যতম জায়গা রানীগঞ্জের রানীসায়ের মোড়। সেখানে একাধিক যাত্রা দলের বুকিং অফিস রয়েছে। এখনও পর্যন্ত টুকটাক যে সমস্ত যাত্রা বুকিং হয়, তা হয় এই রানীসায়ের মোড় থেকেই।
দক্ষিণবঙ্গের যাত্রা বুকিং এর একমাত্র কাউন্টার রয়েছে এখানেই। সেই কাউন্টারগুলি পরিদর্শন করলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। যাত্রা শিল্পকে আবার বিভিন্ন মঞ্চে ফিরিয়ে দিতে, বুকিং কাউন্টার বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন, বুকিং সেন্টার কম থাকার কারণে যারা যাত্রাপালার আয়োজন করতে চান, তাদেরকে কলকাতা পর্যন্ত ছুটে যেতে হয়।
আরও পড়ুনঃ জলেই জন্ম নেবে গাছ! হাইড্রোফোনিক পদ্ধতি সম্বন্ধে জানুন...
সেজন্য তিনি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া সংলগ্ন এলাকায় যাত্রা বুকিং সেন্টার করানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন। যাতে করে স্থানীয় এলাকার মানুষকে কলকাতায় যেতে না হয়। পাশাপাশি অন্যান্য জায়গাতেও যাত্রা বুকিং সেন্টার করানোর কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, রথযাত্রার দিন থেকে বিভিন্ন যাত্রা দলের বুকিং শুরু হয়। দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে এই বুকিংগুলি শুরু হয়।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুরে দুর্গা পুজোর ঢাকে কাঠি, দেবী অবতীর্ণ হবেন জীবন যুদ্ধে
রথযাত্রার দিন থেকে উৎসবের মরশুমে বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন উদ্যোক্তারা যাত্রাপালার বুকিং করান। যদিও সেই সংখ্যা এখন তলানিতে এসে থেকেছে। তবুও পুরনো রীতি অনুযায়ী রথযাত্রার দিন থেকেই যাত্রাপালার বুকিং শুরু হয়েছে। তবে ধীরে ধীরে সেই সংখ্যা কমে যাওয়ায় আশঙ্কিত হয়ে পড়ছেন এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন।
advertisement
Nayan Ghosh
view commentsLocation :
First Published :
July 06, 2022 10:00 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম বর্ধমান/
Paschim Bardhaman: যাত্রাশিল্পের উন্নতির জন্য বুকিং সেন্টার বাড়ানোর নিদান