স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠনের মাধ্যমে অন্যরকম চাষবাসের এক পরিবেশ তৈরি করছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার যোগপুকুর গ্রামের মহিলারা। তাঁরা একসঙ্গে একত্রিত হয়ে বাড়ি লাগোয়াজমিতে ফলাচ্ছেন বেগুন, লঙ্কা, বরবটি-সহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি। যার ফলে এখন মুখে হাসি ফুটেছে গ্রামীণ এই এলাকার প্রমীলা বাহিনীর।
আরও পড়ুন: গাছ বিক্রি করে টোটো কেনা, নিজের খরচে রোগীদের হাসপাতাল পৌঁছে দেন এই চালক
advertisement
একটা সময় কাজ না থাকার জন্য বাড়িতে সমস্যার সসম্মুখীন হতে হত এই সব মহিলাকে। এখন গ্রামেই কাজ, তাও আবার গ্রামেরই সবাই মিলে। শুরুর দিকে চাষবাসে একটু জড়তা থাকলেও এই গ্রামে এখন মহিলারাই হর্তাকর্তা।
সংসারের হাল ফেরাতে নিজেরাই মাঠে নেমে সমস্ত সবজি চাষ করে চলেছেন এই গ্রামের মহিলারা। সরকারি প্রশিক্ষণ নিয়ে এই মহিলারা পুরুষের সহযোগিতা ছাড়াই বিভিন্ন রকম ফসল ফলাচ্ছেন মাঠে। বাড়ির পাশেই কিচেন গার্ডেন তৈরি করে পাড়ার মহিলারা একত্রিত হয়ে চাষ করছেন কোনও রাসায়নিক সার ছাড়াই। পুরোটাই জৈব পদ্ধতিতে।
আরও পড়ুন: ৩০ বছর কুপির আলোয় জীবন, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের আবেদনে বিদ্যুৎ এল বৃদ্ধার ঘরে
মহিলারা জানান, সংসারের অভাব অনটন দূর করতে গ্রামের মহিলারা একত্রিত হয়ে নানা ধরনের সবজি চাষ করেন মাঠে। আর এই সবজিগুলি কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন হাটে বাজারে বিক্রি করে তাঁরা এখন স্বনির্ভর। এই গ্রামের সকল স্তরের মহিলারা সংসারের কাজ সামলে লেগে পড়েন চাষাবাদের কাজে।
মহিলারা জানান, তাঁদের স্বামীরা কৃষিকাজ করলেও স্বামীর টাকায় সংসার চলে না তাই তাঁরা নিজেরাই মাঠে নেমে চাষাবাদ করেন। মহিলাদের এই উদ্যোগে খুশি কালিয়াগঞ্জের কৃষি দফতরের আধিকারিক মৌমিতা সরকার।
পিয়া গুপ্তা





