Cooch Behar News: ৩০ বছর কুপির আলোয় জীবন, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের আবেদনে বিদ্যুৎ এল বৃদ্ধার ঘরে
- Published by:Teesta Barman
Last Updated:
Cooch Behar News: সরকারিভাবে আবেদনের পরেই অবশেষে ওই পরিবারের কাছে পৌঁছল বিদ্যুৎ পরিষেবা। স্বাভাবিক ভাবে দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর পর বিদ্যুৎ পরিষেবা পেয়ে খুশি নিয়তি সাহা।
#মাথাভাঙা: একদিকে যেখানে গোটা পশ্চিমবঙ্গের কোণায় কোণায় পৌঁছে গিয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ, সেই রাজ্যেই কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা পচাগর পঞ্চায়েতের এক বাসিন্দা দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর বিদ্যুৎ শূন্য অবস্থায় পড়ে ছিলেন। অবশেষে বর্তমান রাজ্য সরকারের 'দুয়ারে সরকার' ক্যাম্পে আবেদন করে দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর পর বাড়িতে এল বিদ্যুৎ পরিষেবা। আর এতেই খুশি মাথাভাঙার পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম বাইশগুড়ি গ্রামের ওই পরিবার।
পরিবারে রয়েছেন এক বৃদ্ধা ও তাঁর এক ছেলে। বৃদ্ধা নিয়তি সাহা তাঁর মানসিক ভারসাম্যহীন এক পুত্রকে নিয়ে একাই থাকেন। প্রতিদিনই পেটের টানে এবং ছেলের চিকিৎসার খরচ জোগাতে ভিক্ষে করে বেড়াতে হয় নিয়তি সাহাকে।
advertisement
advertisement
আধুনিক যুগে প্রত্যেকের বাড়িতে বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে গিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে এখনও পর্যন্ত কখনও কুপি, আবার কখনও মোমবাতি জ্বালিয়ে বাড়িতে রাত কাটাতেন নিয়তি সাহা। ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে এভাবেই দিনের পর দিন কাটিয়েছেন তিনি। তবে দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও বাড়িতে বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছয়নি।
advertisement
এই খবর পেয়েই সংশ্লিষ্ট ওই গ্রাম প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান কাজল রায় ও তাঁর স্ত্রী বর্তমানে পঞ্চায়েত সমিতির নারী ও শিশু সমাজকল্যাণ দফতরের কর্মাধ্যক্ষা কল্যাণী রায় গত ৮ এপ্রিল নিয়তি দেবীকে সঙ্গে নিয়ে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে পৌঁছে যান। সেখানে গিয়ে কাজল বাবু ও তাঁর স্ত্রী কল্যাণী রায় ওই পরিবারটি যাতে বিদ্যুৎ পরিষেবা পায় সেজন্য দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে আবেদন করেন।
advertisement
সরকারিভাবে আবেদনের পরেই অবশেষে ওই পরিবারের কাছে পৌঁছল বিদ্যুৎ পরিষেবা। স্বাভাবিক ভাবে দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর পর বিদ্যুৎ পরিষেবা পেয়ে খুশি নিয়তি সাহা। নিয়তি সাহা জানিয়েছেন, এখন থেকে তিনি আর কুপি কিংবা মোমবাতি ব্যবহার করবেন না। বরং সেগুলো চৌকির নীচে বা ট্রাঙ্কে রেখে দেবেন। এখন কুপি কিংবা মোমবাতির ব্যবহার একেবারেই দেখা যায় না। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর মোমবাতি ও কুপি ব্যবহার করে কাটিয়ে দিয়েছেন। বাড়িতে বিদ্যুৎ পরিষেবা আসায় তিনি ও তাঁর ছেলে খুব খুশি।
advertisement
কাজল বাবুর স্ত্রী কল্যাণী রায় জানান, "এটা আমাদের কাজ। আমরা শুধুমাত্র আমাদের কাজটুকু করেছি। দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামের হাজার হাজার মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন।"
Sarthak Pandit
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
April 24, 2023 9:09 PM IST
