তবে এই রথের মেলার প্রধান আকর্ষণ হল তালের শাঁসও নটকন ফল। পসরা সাজিয়ে মেলার এই কয়টা দিন দোকানদাররা নটকোন ও তালের শাঁস বিক্রি করেন।প্রচুর মানুষ মেলায় এসে রথ দেখার সঙ্গে সঙ্গে এই সময় নটকোন ও তালের শাঁস খান ও বাড়ির সকলের জন্য নিয়ে যান । এক কথায় কালিয়াগঞ্জের মহেন্দ্রগঞ্জের রথের মেলার মূল প্রসাদই হল নটকোন ও তালের শাঁস বছরের আর কোন সময় মানুষ নটকন কিংবা তালের শাঁস না খেলেও এই সময় সকলেই জগন্নাথের এই রথের মেলায় এসে নটকোন
advertisement
কিংবা তালের শাঁসখাবে না তা কিন্তু হয়না।
বহু দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এই রথের মেলায় আসেন তালের শাঁসও নটকোন খেতে।টক মিষ্টি এই ফলটি সোজা রথ ও উল্টো রথের দিনই বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় ।সারা বছর নটকোন ও তালের শাঁসের দেখা না মিললেও রথের এই একটি দিন এই ফলগুলোও পাওয়া যায় ।ফলে সাধারণ মানুষের কাছে এই ফলগুলোর বিশেষ চাহিদা থাকে। এক নটকোনবিক্রেতা জানান এই রথের মেলায় ধুপগুড়ি থেকে এই নটকন নিয়ে আসেন তারা।
আরও পড়ুন: চকলেট টমেটো চাষ করে জেলায় সাড়া ফেলে দিয়েছেন কালিয়াগঞ্জয়ের দিপু দেবশর্মা
সারাবছর কেউ নটকোনখায় না তাই নটকন এর চাহিদাও তেমন থাকে না। তবে বছরের এই এক একটি দিন নটকন প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হয়। জানা যায় এবার এই নটকোন ফল মেলায় ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে ও তালের শাঁস ১০ টাকা পিস হিসেবেও বিক্রি হয়েছে। বছরের এই কয়টা দিন নটকন ও তালের শাঁস ভাল পরিমাণে বিক্রি হওয়ায় খুশি ফল বিক্রেতারা।
পিয়া গুপ্তা