উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে এই মিয়াজাকি আম চাষ করা হচ্ছে। সুস্বাদু, লাল ও বেগুনি রঙের এই আম দেখতে অনেকটা রুবি পাথরের মতো হয়। মিয়াজাকি আম বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু হয়েছে। ছাদবাগান বা বাড়ির উঠানে যে কেউ এই আম সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে লাগাতে পারেন। তবে এই আম পরিচর্চার কিছু সঠিক নিয়মাবলী রয়েছে
advertisement
চাষের পদ্ধতি:
১) এই আম চাষ করতে উঁচু, মাঝারি উঁচু জমি,যেখানে বন্যা বা বৃষ্টির জল জমে না এমন জমি এই জাতের আম চাষ করার আদর্শ।
২) এই আম চাষে উর্বর দো-আঁশ ও এঁটেল মাটি সবচেয়ে ভালো।
৩) এই আম বেশি রোদ পছন্দ করে। এক্ষেত্রে রোদ আলো বাতাস ও উপযুক্ত মাটির প্রয়োজন যাতে সরাসরি রোদ ঢুকতে পারে।
৪) এই গাছে অত্যাধিক জল দেওয়া যাবে না গাছের গোড়া ভিজা থাকলে জল দেওয়া যাবে না।
৫) এই আম গাছে বেশি পোকামাকড় আক্রমণ করে। তাই পাতা হলুদ হলে কেটে দিতে হবে।
৬) পোকামাকড়ের উপদ্রব বেশি হলে অবশ্যই কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।৭)বর্ষাকাল এই গাছের চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়। তবে খুব শীত ছাড়া বছরের যেকোনো সময় এই গাছ লাগানো যায়।
৮) এই গাছ লাগানোর দ্বিতীয় বছর থেকে পরিমাণমতো ইউরিয়া, এসএসপি, এমওপি, জিঙ্ক ও জিপসাম সার প্রয়োগ করতে হবে।আমের গুটি ফাটা রোধ করতে বোরন সার দিতে হবে।
আরও পড়ুন: আর মরুভূমিতে নয়! এবার আরবের খেজুর চাষ হচ্ছে বসিরহাটে
৯) এ জাতের আমগাছের রোগ-পোকার আক্রমণ কমানো ও ভালো ফলনের জন্য ছাঁটাই খুব দরকার।বিশেষ করে চারা রোপণের পর প্রথম কয়েক বছর ছাঁটাই এর কাজ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এতে মূল কাণ্ড বা গুঁড়ি মজবুত হয় এবং গাছের মাথা বেশি ঝাঁকড়া হওয়ায় বেশি ফল ধরে।
১০) এছাড়াও সর্বশেষে আর একটা জিনিস লক্ষ্য করতে হবে এই গাছে ফল ধরা শুরু হলে নিচে ঝুলে পড়া ডালপালা ছেঁটে দিতে হবে।গাছের ডালপালা খুব ঘন হলে কিছু ডাল ছেঁটে পাতলা করে দিতে হবে। গাছকে ছেঁটে তিন থেকে পাঁচ মিটার উচ্চতার মধ্যে রাখলে স্প্রে করা,অন্যান্য পরিচর্চা করা ও ফল তুলতে সুবিধে হয়।এ জাতের গাছে নিয়মিতভাবে প্রতি বছরই ফল ধরে।
পিয়া গুপ্তা