মূর্তিটি লম্বায় প্রায় দেড় ফুট, চওড়ায় এক ফুট। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মূর্তিটিকে নিয়ে যাবার চেষ্টা করা হলে, গ্রামবাসীদের বাঁধার মুখে পরে প্রশাসনের কর্তাদের খালি হাতে ফিরেতে হয়েছিল। এরপর ২৯ বছর আগে পূর্ব ভাণ্ডার গ্রামের বাসিন্দারা মন্দির বানিয়ে মূর্তিটির পুজো শুরু করেন।সারা বছর নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে দু বেলা পুজো হয়। তবে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিনটিতে মহাসমরহে সঙ্গে পুজোর আয়োজন করা হয় এখানে।
advertisement
আরও পড়ুন: বয়স মাত্র দু’বছর ন’মাস! ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম উঠল একরত্তির, প্রতিভা জানলে অবাক হবেন
এই গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে নয় বরং মন্দিরে সকল মহিলারা একত্রিত হয়ে কোজাগরী পূর্ণিমাতে মা লক্ষ্মীর পুজো করেন।কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো এখানে রাতে হয়। লক্ষ্মী-নারায়ণ মন্দির কমিটির সম্পাদক মনিন্দ্র নাথ রায় বলেন, ” গ্রামে বিয়ে, অন্নপ্রাশন হলেও লক্ষ্মী-নারায়ণ মন্দিরে এসে গ্রামবাসীরা প্রথমে পুজো দিয়ে যান। এই মন্দিরে গোটা বছর ধরে প্রচুর সোনা ও রুপার গহনা দান করেন ভক্তরা।”
আরও পড়ুন: লক্ষ্মী পুজোর আগে দাম বেড়েছে আখের! হাসি ফুটেছে আখ চাষিদের মুখে
পূর্ব ভাণ্ডার গ্রামের লক্ষ্মী নারায়ণের পূজাকে কেন্দ্র করে আসে পাশের গ্রাম থেকে কয়েক হাজার লোকের সমাগম হয়। এখানে বিশাল মেলা বসার পাশাপাশি, তিন দিন তিন রাত ধরে চলে বাউল গানের আসর। এই পুজোকে কেন্দ্র করে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে দূরদূরান্তের অতিথীরাও এসে হাজির হন। মা লক্ষ্মী এখানে গ্রামের দেবী। দুর্গা পূজার মতোই এই গ্রামে লক্ষ্মী পুজোতেও সকলে মেতে ওঠেন।
পিয়া গুপ্তা