পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে প্রতিবছর ১ লক্ষ শিশু থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত হয়ে জন্মগ্রহণ করে। এই রোগ মা-বাবার ত্রুটিপূর্ণ জিনের মাধ্যমে সন্তানের শরীরে আসে। তবে আগে থেকে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর জন্ম দেওয়া আটকানো সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মারামারি, ধৃত ১
বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রমাণিত থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রোগ। এই রোগে আক্রান্তের শরীরে হিমোগ্লোবিন অস্বাভাবিক কম পরিমাণে থাকে। এই হিমোগ্লোবিন আবার শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন বয়ে নিয়ে যায়। হিমোগ্লোবিন তৈরি হয় আলফা ও বিটা প্রোটিন দিয়ে। যদি এই প্রোটিনগুলোর উৎপাদন কমে যায় তবে শরীরে হিমোগ্লোবিনের উৎপাদনও কমে যায়। ফলে থ্যালাসেমিয়া হয়। এরকম একটি মারাত্মক রোগ নির্ণয়ের মেশিন খারাপ হয়ে যাওয়ায় রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক থেকে শুরু করে রোগী সকলেই সমস্যায় পড়ছেন।
advertisement
পারফরম্যান্স লিকুইড ক্রোমাটোগ্রাফি (এইচপিএলসি) যন্ত্রটি ছাড়া থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত কিনা তা পরীক্ষা করা অসম্ভব। দীর্ঘদিন সেই মেশিন খারাপ থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন উত্তর দিনাজপুরের বিশিষ্ট সমাজসেবী শিক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, মেশিনটি দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে পড়ে আছে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে বারবার স্বাস্থ্য দফতরে আবেদন জানিয়েও এখনও সমস্যার সমাধান হয়নি।
এই গুরুত্বপূর্ণ মেশিন খারাপ প্রসঙ্গে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজের সুপার প্রিয়ঙ্কর রায় বলেন, বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য দফতর এবং কলকাতার স্বাস্থ্য ভবনে জানানো হয়েছে। তাঁর দাবি, মেশিন খারাপ থাকলেও থ্যালাসেমিয়া নির্ধারণে কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি। মেশিন খারাপ হওয়ার পর রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ থেকে রোগীদের রক্তের নমুনা বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু এইভাবে কতদিন চলবে তা নিয়েই এখন প্রশ্ন সমাহলে।
পিয়া গুপ্তা