খগেন বাবু জানান, গত পাঁচ বছর আগে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ করে তিনি হাওয়াই মিঠাইয়ের মেশিন কিনেছিলেন। এই হাওয়াই মিঠাই বানানোর জন্য কাঁচামাল দৈনিক ১০০ থেকে ১৫০ টাকা খরচ হতে পারে সেটা বিক্রির উপর নির্ভর করবে। এই হাওয়াই মিঠাই বানানোর মূল উপকরণই হলো স্পিরিট, চিনি, তেল আর হালকা রঙ। জানা যায়, এক কেজি চিনি দিয়ে ৫০ থেকে ৬০ টি হাওয়াই মিঠাই তৈরি করা যায়। আর এই হাওয়াই মিঠাইয়ের বাজার মূল্য ১০ টাকা।
advertisement
মেশিনের নিচে স্পিরিট ল্যাম্প জ্বালিয়ে তাপ দিতে হয়। মেশিনের ছোট্ট বাটির মধ্যে চিনি দেওয়ার পর হাত দিয়ে চরকা ঘোরাতে হয়। চিনি আগুনের তাপে গলে তা থেকে মাকড়সার জালের মতো সুতো তৈরি হয়। সেখান থেকে কেটে গোল গোল করতে হয়। একটা একটা মিঠাইয়ের চার ভাগের তিন ভাগই থাকে বাতাস।মাত্র ৫০ থেকে ৬০ টাকা খরচ করলেই সারাদিনে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা লাভ করা সম্ভব এই হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করে।
আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলে, তাহলে উত্তরবঙ্গে ঘুরছেন কে? ইডি-কে চিঠি BJP বিধায়কের
আরও পড়ুন: জাঁকিয়ে শীত পড়তে চলেছে! লেপ-কম্বল সব নামিয়ে ফেলুন! জানুন কোন কোন জায়গা কাঁপবে
উল্লেখ্য, যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে বহু খাবার হারিয়ে গেলেও আজও গ্রাম বাংলায় হাওয়াই মিঠাইয়ের কদর একই রয়েছে। জানা যায় ১৫০০ সাল নাগাদ ইতালিতে খাবারটির প্রচলন হয়। ১৮৯৭ সালে উইলিয়াম মরিসন ও জন সি ওয়ারটন হাওয়াই মিঠাই তৈরির মেশিন আবিষ্কার করেন। ১৯০৪ সালে মরিসন ও ওয়ারটন তাঁদের আবিস্কৃত মেশিন নিয়ে যান সেন্ট লুইসের বিশ্ব মেলায়। মেলায়, প্রথম দিনেই ৬৮ হাজার ৬৫৫ বাক্স হাওয়াই মিঠাই বিক্রি হয়ে যায়। এর পর আর হাওয়া মিঠাইকে ফিরে তাকাতে হয়নি। তার কয়েক বছরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল সারা বিশ্বে এই হাওয়াই মিঠাই।যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যত পরিবর্তনই আসুক না কেন রসনায়, গ্রাম বাংলার ছোট বড় বিভিন্ন মেলাতে আজও একই রকম চাহিদা রয়েছে এই হাওয়াই মিঠাইয়ের।
পিয়া গুপ্তা