আরও পড়ুন: বাস্তুতন্ত্র বজায় রাখতে নদীতে ৫০ কেজি চারাপোনা ছাড়া হল
অনেকে মনে করেন, বাংলায় মোঘল শাসনকালে কুলিক নদী বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট ছিল। বড় বড় সওদাগরী নৌকা কুলিক নদীর বন্দর ঘাটে এসে নোঙর করত। সেই সময় বাইরে থেকে ব্যবসা করতে বাইরে থেকে প্রচুর বণিকরা এখানে আসতেন। তাঁদের মধ্যেই বেশ কিছু ধর্মপ্রাণ মানুষের সৌজন্যে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে মনে করা হয়। আবার কারোর কারোর মতে এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহের অন্যতম নেতা রঘুনন্দন গিরিগোঁসাই। তাঁদের অন্দোলনের সময়ই এই মন্দির গড়ে ওঠে।
advertisement
প্রাচীনকাল থেকেই এই দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে বন্দর এলাকাতে মেলা বসে। এই মেলা ছিল সকল শ্রেণির মিলনের স্থান। পরবর্তিতে এই মন্দিরের পুজো সর্বজনীন পুজোয় পরিণত হয়। প্রথম দিকে এখানে টিনের চাল দিয়ে ঘেরা ছিল মন্দির। সেখানেই প্রতিদিন দেবীর পুজো হত। এলাকার সকল মানুষ একত্রিত হয়ে এই পুজো করতেন। বেশ কয়েক বছর আগে রায়গঞ্জের মানুষের অনুদানে মন্দির পাকা করা হয়। স্থাপন কাল থেকেই প্রতিমার কাঠামো একই রাখা হলেও ১৯৫৩ সালে কুলিকের ভয়াবহ বন্যায় তা ভেসে যায়। পরবর্তিকালে নতুন কাঠামো তৈরি করা হয়। তারপর থেকে সেই কাঠামোর উপর প্রতি বছর দেবী প্রতিমা তৈরি করা হয়। দুর্গামন্দিরের অন্দরেই এখন প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকে প্রচুর ভক্ত এই পুজো দেখতে ছুটে আসেন।
পিয়া গুপ্তা