জানা গিয়েছে, আজ থেকে ৩০ বছর আগে বাম আমলে ব্যক্তিগত মালিকানা থেকে এই প্রকল্পটিকে কিনে নেয় জেলা রেগুলেটেড মার্কেট কর্তৃপক্ষ। সে সময় আশায় বুক বাঁধছিলেন রায়গঞ্জ মহাকুমার কৃষকরা। কিন্তু সেই আশায় ছাই। সরকারি আয়ত্বে আসার পর আর কোন উদ্যোগই দেখা যায়নি এই হিমঘরটিকে ঘিরে। অবহেলার কারণে ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সরকারি এই সম্পত্তি। সরকার পরিবর্তন হলেও জেলার হিমঘরটির কোনও পরিবর্তন হয়নি। এই বেহাল অবস্থায় একই থেকে গিয়েছে এই পরিত্যক্ত ভবন। এখন সেটি সমাজ বিরোধীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। বসছে নেশার আসর।
advertisement
আরও পড়ুন: বাবার সাইকেল সারাইয়ের দোকান, অভাবী হয়েও উচ্চ মাধ্যমিকে নিজেকে মেধাবী প্রমাণ দেবিকার!
আরও পড়ুন: দিল্লিতে নাবালিকাকে কুপিয়ে-থেঁতলে খুন, ব্যস্ত রাস্তায় চূড়ান্ত নৃশংসতা দেখে কেউ এগিয়ে এল না!
রায়গঞ্জ মহাকুমায় হিমঘরের চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী। মহাকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে আলুর ফলন বেশ ভালই হয় । কিন্তু পর্যাপ্ত হিমঘর না থাকার কারণে তা জমিয়ে রাখতে পারেন না কৃষকরা। এই মহাকুমায় মাত্র একটি হিমঘর রয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। কৃষকরা সেখানে আলু স্টোর করে লাভবান হতে পারতেন। কিন্তু বছর খানিক ধরে হিমঘরটি বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।এই পরিস্থিতিতে হিমঘরটি চালুর দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। অন্য দিকে, এ বিষয়ে জেলা রেগুলেটেড মার্কেটিংয়ের সচিব অশিত বোর জানান, হিমঘরের উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো কোনো সারা পাওয়া যায়নি।
পিয়া গুপ্তা