বর্ষার সময় সিএডিসি চত্বরে মাছের ডিম উৎপাদন প্রক্রিয়া চলে। সিএডিসি থেকে এই ডিম পোনা নিতে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসেন মৎস্যচাষিরা। তাঁদছর এখান থেকে বিনামূল্যে ডিমের পোনা দেওয়া হয়। রুই, কাতলা, মৃগেল বিভিন্ন ধরনের মাছের পোনা চাষ করা হয় এখানে।
আরও পড়ুন: পুজো আসতেই ডাকের জরির সাজ তৈরিতে ব্যস্ত গোটা গ্রাম
advertisement
সিএডিসিতে কীভাবে মাছের পোনা উৎপাদন করা হয়, কীভাবে চলে পুরো প্রক্রিয়াটা জানেন কী?
কালিয়াগঞ্জ সিএডিসি প্রজেক্ট ম্যানেজার ভোলানাথ সাহা জানান, বাণিজ্যিকভাবে ডিম প্রস্ফুটন করে ও মাছের ডিম পোনা উৎপাদনের জন্য কালিয়াগঞ্জ সিএডিসিতে একটি নিজস্ব হ্যাচারি তৈরি করা হয়েছে। এই হ্যাচারি-তে উৎপাদন করা হয় ডিম পোনা। এই প্রক্রিয়া বিশেষত মে-জুন মাস থেকে শুরু করে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত চলে। সারা বছর এই জলাশয়কে চমৎকারভাবে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষ করা হয় সিএডিসিতে।
সিএডিসির নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও পরিচালনায় মাছের ডিম পোনা উৎপাদন, ডিম পোনা থেকে ধানি পোনা চাষ, ধানিপোনা থেকে চারাপোনা ও চারাপোনা থেকে বড় মাছ উৎপাদন হয়।
সিএডিসির প্রজেক্ট ম্যানেজার ভোলানাথ সাহা আরও জানান, সিএডিসি থেকে মাছের পোনা কিনতে উত্তর দিনাজপুর জেলা ছাড়াও বিভিন্ন জেলা থেকেও মৎস্য চাষিরা এখানে আসেন। যে সকল চাষিরা এখানে আসেন তাঁদেরকে পরামর্শ দেওয়া হয় যাতে পুকুরে ভাল করে চুন দিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়।
এখানে চাষিদের ডিম পোনা দেওয়া হয়। তারপর চাষিরা সেই ডিম থেকে চারা মাছ উৎপাদন করেন। পরবর্তীতে সেই মাছের চারাগুলো সিএডিসি থেকে চাষিদের কাছ থেকে কিনে নেওয়া হয় এবং জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর যে সমস্ত মহিলারা মাছ চাষের সাথে যুক্ত তাঁদেরকে এই মাছের চারা দেওয়া হয়। এছাড়াও বিভিন্ন চাষিদের কাছেও সেগুলো বিক্রি করা হয়।
পিয়া গুপ্তা