Howrah News: পুজো আসতেই ডাকের জরির সাজ তৈরিতে ব্যস্ত গোটা গ্রাম
- Published by:Shubhagata Dey
- news18 bangla
- Reported by:RAKESH MAITY
Last Updated:
দুর্গাপুজোর আগে দিনরাত এক করে ডাকের জরির সাজ তৈরি করে চলেছেন শিল্পীরা
হাওড়া: চরম ব্যস্ততা ঠাকুরের সাজ তৈরির কাজে। দিন রাত এক করে জরি-চুমকির সাহায্যে সাজ তৈরিতে ব্যস্ত গ্রামের পুরুষ থেকে মহিলা সবাই। সারা বছর গতানুগতিক কাজ চললেও প্রতিবছর দুর্গাপুজোর কয়েকমাস আগে কাজের চাপ বাড়ে। আর এই সময় চাহিদা এতো বাড়ে যে যোগান দেওয়া মুশকিল হয়। শিল্পীদের কথায়, বছর বছর চাহিদা বাড়ছে দেব-দেবীর মুকুট ও নিত্য নতুন সাজের। প্রায় দুই দশক হাওড়ার শ্যামপুর ব্লকের গুটিনগরী তার পার্শ্ববর্তী গ্রামে সাজ তৈরিতে ব্যস্ততা। জানা যায়, শিল্পী সুকান্ত অধিকারী কলকাতা থেকে কাজ শিখে গ্রামে ফেরেন। কলকাতার বরবাজার থেকে কাঁচা মাল নিয়ে এসে ডিজাইন বানায়। সেই ডিজাইন মৃৎ শিল্পীদের পছন্দের হলে অর্ডার দেন। বর্তমানে গ্রামের পুরুষ-মহিলা অনেকই এই কাজ শিখে সাজ তৈরি করছেন। গুটিনগরী, বাউড়িয়া, নলপুর সহ বেশ কিছু গ্রামে এই সাজ তৈরি হয়।
প্রতিমার তৈরি সাজের দাম ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৮-১০ হাজার টাকা বা তারও বেশি হয়ে থাকে। তবে কম দামের সাজের বেশি চাহিদা। তৈরি সাজ হাওড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মৃৎশিল্পালয়ে পৌঁছে যায়। পাশাপাশি কলকাতার বাজারেও যায় এই সাজ।
advertisement
advertisement
শিল্পী সুকান্ত অধিকারী জানান, সোলা বা থার্মকল ও কাগজের বোর্ডের উপর জরি, অভ্র, চুমকি, লেশ পাথরের সাহায্যে মুকুট এবং ডাকের জরির সাজ তৈরি হয়। এক একটি সাজ ছোট ও হালকা হলে ২-১ ঘণ্টা সময় লাগে। দুর্গা ও জগদ্ধাত্রী প্রতিমার বড় সাজ তৈরি করতে ১০-১৫ দিন সময় লাগে।
শিল্পী নমিতা অধিকারী জানান, গত প্রায় ৮ বছর এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। শ্বশুরবাড়িতে শিখে এই কাজ করছেন। তিনি জানান, সারা বছর সেভাবে চাহিদা থাকে না। পুজোর সময় দু-তিন মাস চাহিদা বাড়ে। তখন সারাদিন রাত কাজ করেও যোগান দিয়ে ওঠা যায় না। সাজ তৈরি করে মজুত রাখার মত পুঁজি ও পরিকাঠামো কোনটাই নেই। সরকারি সহযোগিতা পেলে তাঁদের সুবিধা হত বলে জানান শিল্পী।
advertisement
রাকেশ মাইতি
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
September 20, 2023 3:18 PM IST