উত্তর দিনাজপুরের জেলা সদর রায়গঞ্জের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের উকিলপাড়া এলাকায় পুকুর ভরাট করে নার্সিংহোম তৈরির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বর্ষার সময় বৃষ্টির জল রাস্তায় না জমে ওই পুকুরে গিয়ে পড়ে। সেই পুকুরের চারদিক প্রাচীর দিয়ে ঘেরার কাজ শুরু হতেই এলাকার মানুষ জড়ো হয়ে কাজ থামিয়ে দেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুকুরটি ঘেরার পর ভরাট করে সেখানে নার্সিংহোম তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যে পুকুরের বেশ কিছুটা অংশ মাটি ফেলে ভরাট করা হয়ে গিয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি।
advertisement
আরও পড়ুন: অনবরত বৃক্ষ নিধনে বাংলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শীতল ছায়া
যে পুকুর নিয়ে এত বিতর্ক তার মালিক ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা জয়প্রকাশ রায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, তিনি এক চিকিৎসকের কাছে পুকুরটি বিক্রি করে দিয়েছেন। সেই চিকিৎসকই পুকুর ভরাট করে নার্সিংহোম তৈরির ছক কষেছেন বলে অভিযোগ। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত চিকিৎসকের বাবা রবীন্দ্রনাথ গোপ। তিনি বলেন, পুকুরে নোংরা ফেলা আটকাতেই প্রাচীর দিয়ে ঘিরেছেন। এই দাবিকে সমর্থন করেছেন পুকুরের আগের মালিক জয়প্রকাশ রায়ও।
এদিকে ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভিযোগ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর অনিরুদ্ধ সাহা। তিনি জানান, পুকুরের মালিক এলাকার মানুষের সঙ্গে আলোচনা না করে পুকুরের চারদিক সীমানা প্রাচীর দিচ্ছিলেন। পুরসভার গার্ডওয়ালের উপর প্রাচীর দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। তাই এলাকার মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছে।
পিয়া গুপ্তা