একযোগে কাজ করছে NDRF এবং SDRF। স্বাভাবিকভাবেই গড়বেতার পর চন্দ্রকোনা এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তবে ঘাটাল পৌর এলাকায় সে অর্থে কোন বন্যা লক্ষ্য করা যায় নি। পশ্চিম মেদিনীপুর প্রশাসন সূত্রে খবর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সহ একাধিক এলাকায় অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে জল বেড়েছে বিভিন্ন নদীতে। ইতিমধ্যে শিলাবতী নদী ফুলেফেঁপে উঠেছে। বিপদসীমার উপর রয়েছে জল। চন্দ্রকোণার একাধিক গ্রামীণ এলাকায় বইছে স্রোত। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
advertisement
তাদের খাবার ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। শুধু তাই নয়, ঘাটাল এলাকার একাধিক স্লুইসগেটে নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসনের অধিকর্তারা। দ্বিস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা নেওয়া হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে বেশ কিছু জায়গা ইতিমধ্যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।প্রসঙ্গত, ঘাটালের সঙ্গে বন্যা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ঘাটাল শহর ও পৌর এলাকা ছাড়া, চন্দ্রকোণার বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। রাত পর্যন্ত এলাকায় ঘুরেছেন ঘাটাল মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস। এছাড়াও, বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন রয়েছে কুইক রেসপন্স টিম। ভারী বৃষ্টির সময় থেকে ব্যবস্থা নিয়েছিল প্রশাসন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্বাভাবিকভাবে বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো গেছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজনের অভিযোগ, নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ার এই ঘটনা। তবে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ বেশ কয়েক দশক পর বন্যা পরিস্থিতি গড়বেতা এলাকায়। জলের তলায় চাষের জমি বাড়িঘর, উঁচু জায়গায়, স্কুলে আশ্রয় নিতে হয়েছে বন্যা দুর্গতদের। জানা গিয়েছে, গড়বেতার ১ এবং ২ নং ব্লকের প্রায় সব কটি অঞ্চল প্লাবিত। স্বাভাবিকভাবে এভাবে আর কতদিন যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
রঞ্জন চন্দ





