হুগলির বৈঁচি থেকে এক বাস লোক নিয়ে সেই কাশ্মীর যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল একটি পর্যটন সংস্থার। ২৫ তারিখ বিকেলে বাস ছাড়ার কথা ছিল বৈঁচি থেকে ৫০ জন পর্যটক নিয়ে। তার সব আয়োজন সারা হয়ে গিয়েছিল। অনেক আগে থেকেই হোটেল বুকিং কাশ্মীরে স্থানীয় জায়গা ঘোরার জন্য গাড়ি বুকিং সবকিছুই করা ছিল।
advertisement
পহেলগাঁওতে জঙ্গিহামলায় পর্যটকদের নিহত হওয়ার ঘটনায় সেইসব পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়েছে। পর্যটকেরা যেমন কিছুটা সন্ধিহান। এই সময় কাশ্মীর যাওয়ার ক্ষেত্রে পাশাপাশি, পর্যটন সংস্থাগুলো বুঝে উঠতে পারছে না আর কী করবে। এই মুহূর্তে কাশ্মীরে যা পরিস্থিতি তাতে সেখানে গিয়ে ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়ানো যাবে না। তাই সোনমার্গ থেকে গুলমার্গ, পহেলগাঁও থেকে ডাল লেক কাশ্মীরি সৌন্দর্য উপভোগ করার উপযুক্ত সময় বোধহয় এটা নয়।
হামলার জেরে ট্যুর বাতিল করেছে বৈঁচির পর্যটন সংস্থা। পর্যটকদের তাঁরা জানিয়েছে, আপাতত এক সপ্তাহ বাতিল করা হল এই ট্যুর। তবে এক সপ্তাহ পরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কিনা তার নিশ্চয়তা নেই। তাই হোটেল গাড়িকে অগ্রিম দেওয়া পর্যটকদের থেকে অগ্রিম নেওয়া এখন মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পর্যটন সংস্থার কর্ণধার অমিত দাস বলেন, ‘সরকার সেনাবাহিনী যদি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারে। তাহলে হয়তো যাওয়া সম্ভব। না হলে আপাতত কাশ্মীর ভ্রমণ বাতিল করতে হবে। কারণ জেনেশুনে মানুষকে বিপদে ফেলা যাবে না।’
পর্যটক রমেন জয়ধর জানান, এর আগেও কাশ্মীর গিয়েছেন, তবে এই রকম ঘটনা শোনেননি। জঙ্গিরা এসে সরাসরি পর্যটকদের টার্গেট করে গুলি করে মারছে ভাবলেও শিহরণ জাগে। তিনি বলেন, ‘ঘটনার পরই আমরা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা কী করে দেখা যাক।এতগুলো মানুষের মৃত্যু মনের মধ্যে আতঙ্ক হচ্ছে।’
রাহী হালদার






