রামনগর দুই নম্বর ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা রুমি সাহা বলেন, “আমরা চেয়েছি এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষকরা শুধুমাত্র চাষের সঙ্গে সীমাবদ্ধ না থেকে আরও নতুন কিছু শিখুন। পশুপালন ও মৎস্যচাষের আধুনিক পদ্ধতি জানলে তারা বাড়িতে বসেই আয়ের নতুন সুযোগ পাবেন। এই ধরনের প্রশিক্ষণ কৃষকদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, এবং সরকার চালু করা প্রকল্পগুলির সুবিধা গ্রহণে উৎসাহিত করে।”
advertisement
আরও পড়ুন: অনেক হল অবহেলা, বঞ্চনা, আর নয়…! মেয়েদের বুঝিয়ে দিল এই স্কুল, পুরো গল্প শুনলে আপনিও কুর্নিশ জানাবেন
প্রশিক্ষণ শিবিরে কৃষি দফতরের আধিকারিকদের পাশাপাশি প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতর ও মৎস্য দফতরের অভিজ্ঞ আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা অংশগ্রহণকারী কৃষকদের হাতে-কলমে শেখান কীভাবে কম খরচে অধিক উৎপাদন করা যায়, কোন ধরনের সার বা কীটনাশক ব্যবহার করলে মাটির ক্ষতি না করে ফলন বাড়ান সম্ভব। দফতরের পক্ষ থেকে গবাদিপশু পালনের আধুনিক নিয়ম-কানুন, রোগ প্রতিরোধ এবং খাদ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এছাড়াও, মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে জানান হয় কীভাবে ছোট পুকুর বা খালেও আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে মাছ চাষ করে মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ আয় নিশ্চিত করা যায়। শুধু তাই নয়, প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া কৃষকদের জানান হয় ‘কৃষক বন্ধু’, ‘কিষাণ ক্রেডিট কার্ড’, ‘মৎস্য সহায়তা প্রকল্প’-এর মত সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে। তাঁদের উৎসাহিত করা হয় এসব প্রকল্পে আবেদন করে বাস্তবিক সুবিধা নেওয়ার জন্য। প্রশিক্ষণে কৃষকদের সঙ্গে আলাপচারিতার মাধ্যমে তাঁদের সমস্যা শোনা হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে উত্তরও দেওয়া হয়।
পূর্ব মেদিনীপুরের অনেক কৃষক জানিয়েছেন, এই ধরনের প্রশিক্ষণ তাঁদের কাছে অত্যন্ত ফলপ্রসূ। আগে তারা যে সমস্যাগুলির মুখোমুখি হতেন, যেমন জমির সঠিক ব্যবহার, সার প্রয়োগ বা প্রাণীদের রোগ—সেসব বিষয়ে এখন পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন। এই প্রশিক্ষণ শিবিরটি শুধুমাত্র একটি কর্মসূচি নয়, বরং এটি কৃষকদের জীবনে এক নতুন আশার আলো। আধুনিক প্রযুক্তি ও সরকারি সহায়তার মেলবন্ধনে কৃষকেরা যেন নিজেদের জীবনে স্থায়ী পরিবর্তন আনতে পারেন, সেটাই এই শিবিরের মূল উদ্দেশ্য।
মদন মাইতি