এই ব্লক জুড়ে বিপুল পরিমাণ জমিতে সারা বছর নানা ধরনের সবজি চাষ হয়। পূর্বস্থলী ব্লকের চাষিরা ফুলকপি, বাঁধাকপি, আলু, পটল, ঝিঙে, পেঁপে, বেগুন সহ আরও বহু রকমের সবজি উৎপাদন করে থাকেন। আধুনিক চাষপদ্ধতি ও অভিজ্ঞতার জোরে এখানকার সবজির গুণগত মানও যথেষ্ট ভাল। ফলত শুধু জেলার মধ্যেই নয়, জেলার বাইরে থেকেও এই সবজির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ৪০ বছরের সাধনার ফল! ডুয়ার্সের বুকে কানাইলালের ‘বনসাই আখড়া’, ঘুরে গিয়েছেন সমরেশ মজুমদারও
আড়তদার ক্ষুদিরাম মাহাতো বলেন, “এখান থেকে বিভিন্ন রাজ্যে সবজি যায়। এখন যেমন পেঁয়াজ লাগানো হচ্ছে, এই পেঁয়াজ উঠলে প্রায় অর্ধেক ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়বে।” পূর্বস্থলীর কালেখাঁতলা সবজি বাজারে চাষিরাও তাঁদের উৎপাদিত সবজি নিয়ে আসেন। কয়েক দশকের পুরনো এই বাজার আজও পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সবজি বাজার হিসেবে পরিচিত। প্রতিদিন এই বাজারে চাষি ও আড়তদারদের ব্যস্ততা চোখে পড়ে। বাজারে একাধিক আড়ত রয়েছে, যেখানে চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি সবজি কিনে নেন ব্যবসায়ীরা।
এই কালেখাঁতলা বাজার থেকেই ট্রাক ভর্তি করে ভিনরাজ্যে সবজি পাঠানো হয়। ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশা সহ আরও একাধিক রাজ্যের পাইকাররা এখানে এসে সবজি কিনে নিয়ে যান। ফলে পূর্ব বর্ধমানের সবজি এখন রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে ভিনরাজ্যেও পরিচিতি পাচ্ছে। বাইরের রাজ্যগুলিতে এখানকার সবজি যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ভিনরাজ্যে সবজি রপ্তানির ফলে চাষিরাও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। ন্যায্য দাম পাওয়ায় তাঁদের মুখে হাসি ফুটছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সবজি চাষি লিটন দাস বলেন, “বাইরের রাজ্যে সবজি যাচ্ছে বলে আমরাও দু’টো পয়সা পাচ্ছি। সবজি না গেলে বিক্রিই হত না।” সব মিলিয়ে বলা যায়, ধানের পাশাপাশি সবজি চাষেও পূর্ব বর্ধমান জেলা, বিশেষ করে পূর্বস্থলী ব্লক নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। পূর্ব বর্ধমানের সবজি এখন গুণমান ও চাহিদার নিরিখে ভিনরাজ্যেও এক আলাদা পরিচয় গড়ে তুলেছে।





