সিএমইআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক সময় কৃষক ভাইয়েরা তাঁদের অনুমানের ওপর নির্ভর করে জমির ফসলে কীটনাশক প্রয়োগ করতে গিয়ে বিপদে পড়েন। অতিরিক্ত কীটনাশক যেমন ফসলের ক্ষতি করছে ঠিক তেমনই মানব শরীরেও এর অনেক কুপ্রভাব রয়েছে। এটা থেকে মুক্তি দিতেই এই চেষ্টা বলে জানান দুর্গাপুর সিএমইআরআই এর ডিরেক্টর নরেশ চন্দ্র মুর্মু।
advertisement
পাশাপাশি তিনি জানান,বর্তমান প্রজন্ম আর ধান, গম ও শাকসব্জী সহ খাদ্যশষ্য চাষাবাদে আগ্রহী হচ্ছে না। তাঁরা প্রতিযোগিতার বাজারে বুঝে উঠতেই পারছে না গ্রামের অনুকূল পরিবেশ ও চাষাবাদের গুরুত্বটা। এবার দুর্গাপুরের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের বিজ্ঞানীরা এই বর্তমান প্রজন্মকে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করবে। গ্রামের অন্দরে যে খাদ্যের অফুরন্ত ভান্ডার রয়েছে সেটাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে জীবজগতে খাদ্য সঙ্কট রক্ষা পাবে।
এমনই “স্মার্ট ভিলেজ ” গড়তে ওই গবেষণাগারের বিজ্ঞানীরা চাষাবাদ সহ আরও বিশেষ কিছু সুযোগসুবিধের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।আধুনিক ভারতের গ্রামের ঘরে ঘরে থাকবে স্মার্ট সোলার চুলা। সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়েই রান্না করার মেশিনও তৈরি করেছেন সিএমআইআরআইয়ের বিজ্ঞানীরা।
সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে চাষাবাদের উপর। বিজ্ঞানীদের দাবি,মানবজাতি ভয়ঙ্কর পরিস্থিরি মুখে দাঁড়িয়ে।বর্তমানে সকলে গ্রাম ছেড়ে শহরমুখী হচ্ছেন। মনে রাখতে হবে, খাদ্যশস্য উৎপাদন শহরে হয় না। অনেকে গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ায় বহু জমিতে চাষ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই একটা সময় আবার মানুষকে গ্রামে ফিরতে হবে। বর্তমান যুগে বাড়িতে বাড়িতে প্রয়োজন হবে আধুনিক কৃষি সরঞ্জামের।প্রসঙ্গত, দুর্গাপুরের এই কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানটি বরাবরই কৃষিজ যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের উপর জোর দেয়। দেশের আধুনিক ট্রাক্টর নির্মাণ হয়েছিল এখান থেকেই।
বর্তমানে গবেষণাগারের বিজ্ঞানীরা এমন রোবট বানানোর চেষ্টা চালাচ্ছে যাকে মানুষ নিয়ন্ত্রণ করে চাষ করাতে পারবে।
জমির কোন অংশে পোকা আক্রমণ করেছে তা নির্ধারণ করে দেবে ড্রোন। কৃষিকাজকে বিজ্ঞানীরা এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে চান যাতে উচ্চ শিক্ষিতরাও পূর্বপুরুষদের জমিতে চাষ করার আগ্রহ পান। সিএমইআরআইয়ের অধিকর্তা নরেশচন্দ্র মুর্মুর মূল দাবি, গ্রামকে উন্নত করতেই হবে। না হলে ভবিষ্যতে খাদ্য সঙ্কট তৈরি হবে।