কী শুনে অবাক হচ্ছেন তবে এটাই একদম বাস্তব। তবে কোথায় সেই জায়গা! বীরভূমের তারাপীঠ মন্দির থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে গেলেই পৌঁছে যাবেন খরাসিনপুর আর সেখানেই রয়েছে এই গরম জলের ভাণ্ডার। যেখানে সারা বছরই একটি পাইপের মাধ্যমে উঠে আসছে গরম জল।
আরও পড়ুনঃ ধংস হচ্ছে একের পর এক গাছ! এবার কী বন্ধ হচ্ছে সোনাঝুরি হাট! হঠাৎ কী হল? জানুন
advertisement
তারাপীঠ এলে যে কোনও টোটো অথবা অটোওয়ালাকে বলতে পারেন আপনি সন্ন্যাসী তলা হয়ে খরাসিনপুর যাবেন তাহলেই খুব অল্প টাকার বিনিময়ে আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন সেখানে। চারিধারে সুন্দর গাছ গাছালি এবং জঙ্গলে ঘেরা সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে শীতকালে গেলে সেরে নিতে পারবেন স্নান। শীত গ্রীষ্ম বর্ষা বছরের সব সময় অবিরাম একটি গোল পাইপের মাধ্যমে এখানে জল উঠে চলেছে।
জানা যায় শীতকালে সেই জলের তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি থাকে। আর সেই জল ব্যবহার করা হয় জমির চাষবাসের জন্য। তবে কোনওভাবেই সেই জল পান করার উপযুক্ত নয়। এলাকাবাসীরা জানান জলের মধ্যে একটি গন্ধ থাকার কারণে সেই জল খাওয়া যায় না। এলাকাবাসীদের সূত্রে আরও জানা যায় প্রায় ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে অবিরাম এখানে এমন ভাবেই গরম জল উঠে আসছে। ঠিক সেই কারণেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য কয়েকজনের দল এসে পৌঁছেছিলেন এই খরাসিনপুর।
পাইপ লাইনের মাধ্যমে দীর্ঘ তিন বছর ধরে চলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। অনেকেই মনে করেছিলেন এখান থেকে হয়ততেল অথবা কয়লা পাওয়া যেতে পারে। তবে এগুলির মধ্যে কোনওটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আর সেই কারণেই সেই পাইপ আজও রয়ে গেছে সেখানে। তাই এবার আপনি যদি বীরভূম ভ্রমণে আসেন তাহলে অবশ্যই একবার ঘুরে আসুন বীরভূমের দ্বিতীয় উষ্ণপ্রসবন কেন্দ্র থেকে।
সৌভিক রায়