সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের এক বাসিন্দা এমন প্রতারণার শিকার হন। মন্দারমণির এক রিসর্টের নামে অনলাইনে ২৭ হাজার টাকার অগ্রিম বুকিং করেন তিনি। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছে জানতে পারেন, ওয়েবসাইটটি সম্পূর্ণ ভুয়ো। এরপর হোটেল কর্তৃপক্ষই প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করে। অনলাইনে হোটেল বুকিংয়ের নামে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় রাজস্থান থেকে গ্রেফতার হল দুই যুবক। ধৃতরা হলেন রাজস্থানের ডিগ জেলার বাসিন্দা আমজাদ খান (১৮) ও জাবেদ খান (৩২)।
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এরা ভুয়ো ওয়েবসাইট বানিয়ে নামিদামি হোটেল ও রিসর্টের ছবি, নাম ও লোগো ব্যবহার করত। সেই ভুয়ো ওয়েবসাইটে অনলাইন ঘর বুকিংয়ের নামে পর্যটকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা আদায় করা হত। অভিযোগ, মন্দারমণির একাধিক হোটেলের ওয়েবসাইটও নকল করে প্রতারণা চালাত ওই চক্র। এই প্রতারণার অভিযোগে মন্দারমণির এক হোটেল ম্যানেজার সৌভিক চক্রবর্তী জেলা সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তদন্তে নামে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সাইবার থানার একটি বিশেষ দল।
অফিসার সৌরভ মিত্রের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের টিম রাজস্থানে গিয়ে অতর্কিতে অভিযান চালিয়ে দুই ভাই আমজাদ ও জাবেদকে গ্রেফতার করে। তাঁদের ট্রানজিট রিমান্ডে তমলুকে আনা হয় এবং তমলুক আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তদন্তকারী অফিসার সৌরভ বলেন, রাজস্থানে বসেই এই চক্র একাধিক পর্যটনস্থলের হোটেলকে নিশানা বানিয়ে প্রতারণা চালাচ্ছিল। এর পিছনে আরও বড় কোনও চক্র কাজ করছে কিনা সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা একাধিক হোটেলের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে রিসর্টের প্রতিনিধি পরিচয়ে পর্যটকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। এরপর হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো হত কিউআর কোড। বুকিংয়ের নামে টাকা পাঠানোর পর পর্যটকদের দেওয়া হত জাল বিল ও মিথ্যা কনফার্মেশন মেসেজ। রাজস্থানের ডিগ জেলা যেন ঝাড়খণ্ডের জামতাড়াকেও ছাপিয়ে গিয়েছে! এমনটাই দাবি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের সাইবার সেল বিভাগের দায়িত্বে থাকা অফিসারদের।






