এখানে কারও চার বছর, কারও পাঁচ বছর কেটে গেছে প্রিয়জনের দেখা না পেয়ে। অনেকেই বলেন, শেষবারের মতো ছেলেদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ফোন কেটে দেওয়া হয়েছিল। তবু তাঁদের দিন কাটে জানলার ধারে বসে অতীতের স্মৃতিতে—সন্তানের ছোটবেলার দুষ্টুমি, স্কুলের প্রথম দিন, প্রথম জ্বরের রাতে নির্ঘুম প্রহর কাটানো—সবই এখন কেবল মনখারাপের গল্প।
advertisement
আরও পড়ুন: কেরলের বাজনা, মধ্যপ্রদেশের ব্যান্ড, ৪৫ ক্লাব, লক্ষাধিক মানুষ! রাসের শোভাযাত্রা রেকর্ড গড়ল দাঁইহাটে
এদিকে রাজ্যজুড়ে ভোটার তালিকা নিয়ে ব্যস্ততা বেড়েছে। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় বাবার নাম প্রয়োজন হওয়ায় অনেক সন্তান হয়ত আবারও খোঁজ নেবেন এই বৃদ্ধ পিতা-মাতার। বেশ কয়কজন ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছেন। তাই এই আশাতেই বুক বাঁধছেন আশ্রমের আবাসিকরা হয়ত বহু বছর পর একবারের জন্য দেখতে পাবেন প্রিয় সন্তানের মুখটি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে আশ্রমের কর্মীরা বলছেন, “প্রয়োজনে অনেকে আসে, কিন্তু ভালবাসা নিয়ে কেউ ফিরে আসে না।” তাই এই বৃদ্ধাশ্রম যেন সমাজের মূল স্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন এক ছোট্ট দ্বীপ যেখানে একাকীত্ব, স্মৃতি আর অপেক্ষা মিলেমিশে আছে। বৃদ্ধ পিতা-মাতারা জানেন, প্রয়োজন ফুরোলেই হয়তো আবার ফুরিয়ে যাবে তাদের গুরুত্বও। তবু, একটিবারের জন্য সন্তানের মুখ দেখার আশাতেই তাঁরা বাঁচেন।





