এলাকার কৃষকদের দ্রুত বার্তা দিতে এবং উন্নত মানের চাষ করতে প্রতিনিয়ত সাহায্যের জন্য একটি কমিউনিটি রেডিও স্টেশন-এর পাশাপাশি হ্যাম রেডিওর একটি স্টেশন তৈরি করা হবে।
বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে আজ প্রাকৃতিক বিপর্যয় বেড়েই চলছে। আর তাতেই মানব সমাজ বিশেষ করে উপকূলবর্তি অঞ্চলের প্রান্তিক মানুষগুলির জন্য এটা খুবই বিপদের কারণ।
আরও পড়ুন- হলুদ সতর্কতা জেলায় জেলায়! শুক্র-শনি-রবি কী হতে চলেছে বাংলা জুড়ে…
advertisement
ঝড়, সাইক্লোন বা বন্যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এখানে। সেই জন্য ঝড় অথবা সাইক্লোনের পরবর্তী সময়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের যেমন কোথায় কী পরিস্থিতি? কোথায় খাবার জল বা জীবনদায়ী ওষুধ প্রয়োজন তা জানা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে।
সেই সময়ে সব থেকে জরুরি হয়ে পড়ে দুর্গত এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর মোবাইল ফোন যখন শুধুমাত্র একটি খেলনা, তখন হ্যাম রেডিওর যোগাযোগ ব্যবস্থাই পারে বিকল্প যোগাযোগ স্থাপন করতে।
ইতিমধ্যে এই নিয়ে ইন্ডিয়ান একাডেমি অফ কমিউনিকেশন এন্ড ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাবের সহযোগিতায় এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মাধ্যমে শুরু হবে নিয়মিত পাঠক্রম। তার পর ভারত সরকারের পরীক্ষা।
আরও পড়ুন- কেউ চায় উচ্চশিক্ষা করতে, কেউ আবার চায় পোশাদারির কাজ করতে,জীবনের দ্বিতীয় বড় পরীক্ষা শেষ!
এই এএসওসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই কেন্দ্রীয় সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রকের থেকে মিলবে হ্যাম রেডিও ব্যবহারের অনুমতি। এর পরই তারা ওই রেডিও নিজেদের বাড়িতে স্থাপন করে দেশ বিদেশে রেডিও তরঙ্গের মাধমে নিজেদের পরীক্ষা মুলক গবেষণা করতে পারবে। এর সঙ্গে যে কোনো ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মানুষের ত্রাতা হয়ে উঠতে পারবে ছাত্র-ছাত্রীরাই।
নবাব মল্লিক