প্রথা মেনে একাধিক নিয়মের মধ্য দিয়ে প্রতিমা এসে পৌঁছন দিঘার সমুদ্রসৈকতে। ঢাকের তালে, উলুধ্বনি, আবির-সিঁদুর আর আনন্দমুখর পরিবেশে পুরো সৈকত মুখরিত হয়ে ওঠে। বৃষ্টির ফোঁটা ভিজে আকাশ-পাতালকে মিশিয়ে দিয়েছে, তবু উৎসবের আনন্দে ভাটা পড়েনি কারও মুখে।
advertisement
পুজো উদ্যোক্তারা জানান, ‘দেবীকে বিদায়ের মুহূর্ত সবসময়ই আবেগঘন। এ বছর বৃষ্টি সঙ্গী হলেও আনন্দে কোনো খামতি ছিল না। এলাকাবাসী ও পর্যটকদের উপস্থিতি বিদায়ের মুহূর্তকে আরও অনন্য করে তুলেছেন’।
বিসর্জনকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাখা হয়েছিল নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের কারণে পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ার, লাইফগার্ড ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী টহল দেয় সৈকত জুড়ে। পর্যটক ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য একাধিক ব্যারিকেড এবং বিশেষ রুট নির্ধারণ করা হয়। এ কারণে কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
কলকাতা ও দুই মেদিনীপুর জেলার পাশাপাশি হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম এবং প্রতিবেশী রাজ্য থেকেও পর্যটকরা উপস্থিত হন প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে। পুজোর দিনগুলোর মতই বিসর্জনের দিনেও ভক্ত ও পর্যটকরা সৈকত ভরিয়ে দেন। এক পর্যটক বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে কিছুটা অসুবিধা হলেও দিঘার সমুদ্রতটে প্রতিমা নিরঞ্জন প্রত্যক্ষ করার অভিজ্ঞতা সত্যিই অনন্য’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সন্ধ্যা গড়াতেই প্রতিমা বির্সজন করা হয় সমুদ্রে। ঢেউয়ের গর্জনের সঙ্গে মিলেমিশে যায় বিদায়ের সুর। সিঁদুর খেলা, মিষ্টিমুখ, শোভাযাত্রা – সব মিলিয়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। দেবী বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে আশায় উচ্চারিত হয়, ‘আসছে বছর আবার হবে’। দিঘা, শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে খবর, এবছরের বিসর্জন উৎসব শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দিঘার সমুদ্রতটে প্রতিমা নিরঞ্জনের দৃশ্য এবারের দুর্গোৎসবকে স্মরণীয় করে তুলেছে।