বোস ইনস্টিটিউট, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়-সহ প্রথম সারির প্রতিষ্ঠানগুলির বিজ্ঞানী গবেষকদের এই চমকপ্রদ গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘মাইক্রোবায়োলজি স্পেকট্রাম’ নামক জার্নালে। বিখ্যাত গবেষণা পত্রিকা ‘নেচার ইন্ডিয়া’ও তাদের প্রকাশিত সংখ্যায় তুলে ধরেছে এই তথ্য। ফলে গুরুত্ব পেয়েছে এই গবেষণা।
advertisement
এই গবেষণায় সাগর এবং ঘোড়ামারা দুই দ্বীপের পুকুর থেকে ছয় ধরনের স্পঞ্জ সংগ্রহ করা হয়। গবেষণা চলাকালীন বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেন, একই পুকুরে থাকলেও পুকুরের জলে ও স্পঞ্জে রয়েছে আলাদা ধরনের ব্যাকটেরিয়া।
এছাড়াও দেখা যায় পুকুরের জলে এবং স্পঞ্জে থাকা ভারী ধাতুর পরিমাণ সমান নয়। পুকুরের জলের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে ভারী ধাতু যেমন – আর্সেনিক, জিঙ্ক, লোহা, তামা, সীসা, ক্যাডমিয়াম এবং ক্রোমিয়াম রয়েছে স্পঞ্জে। এখান থেকে জানা যায়, ওই স্পঞ্জগুলির ভারী ধাতু শুষে নিচ্ছে জলদূষণ।
স্পঞ্জ ভারী ধাতুর বিষক্ষয় ঘটাচ্ছে বা বিজ্ঞানীদের পরিভাষায় ডিটক্সিফাই করছে। সেজন্য জলদূষণের মাত্রা অনেকটা কমে যাচ্ছে। এই গবেষক দলের সদস্য ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের জাতীয় পোস্ট ডক্টরাল ফেলো ড: ধ্রুব ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, “এই গবেষণার দু’টি অত্যন্ত জরুরি জনস্বার্থবাহী ফলাফল রয়েছে। এক, কোনও এলাকার পুকুরের জলে স্পঞ্জের অস্তিত্ব দেখে টের পাওয়া যাবে, সেখানকার জলে ভারী ধাতুর দূষণ ঠিক কোন পর্যায়ে আছে। দুই, স্পঞ্জকে কাজে লাগিয়ে সামগ্রিকভাবে কমানো যাবে জলদূষণ।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এতদিন সমুদ্রের স্পঞ্জ নিয়ে গবেষণা চললেও নতুন করে পুকুরের স্পঞ্জ নিয়ে গবেষণা নতুন দিগন্তের উন্মোচন করল মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।






